বড়লেখায় সংঘর্ষে গুলি : অস্ত্র পরীক্ষা করবে সিআইডি

বড়লেখা প্রতিনিধি


জুলাই ২২, ২০২০
০৮:৫৯ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২২, ২০২০
০৮:৫৯ অপরাহ্ন



বড়লেখায় সংঘর্ষে গুলি : অস্ত্র পরীক্ষা করবে সিআইডি

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পলিথিন আটকের জেরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের মামলায় কারাগারে থাকা প্রধান আসামি সাইদুল ইসলামের (৩৮) জব্দ করা দু'টি আগ্নেয়াস্ত্র (লাইসেন্স করা) থেকে গুলি হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দুটি ‘ব্যালাস্টিক’ পরীক্ষার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে পাঠানো হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় সাইদুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে প্রকাশ্যে গুলি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ৯ জুলাই সকালে বড়লেখার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) আদালতে সাইদুলকে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওইদিন সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইদুলের নামে লাইসেন্স করা পিস্তল ও শটগান (দোনলা বন্দুক) তার বাড়ি থেকে জব্দ করেন। এরপর ১৬ জুলাই জব্দ করা অস্ত্র দু'টি পরীক্ষার জন্য বড়লেখার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (ম্যাজিস্ট্রেট) আদালতে অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অস্ত্র দু'টি থেকে গুলি হয়েছে কি না তা পরীক্ষার জন্য আদালত অনুমতি দেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে অস্ত্র দু'টির ব্যালাস্টিক পরীক্ষার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

মামলার তন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, দুই মামলার প্রধান আসামি সাইদুল গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার দু'টি অস্ত্র জব্দ করা হয়। যেহেতু মামলায় সাইদুলের বিরুদ্ধে গুলি করার অভিযোগ আছে, তাই গত ১৬ জুলাই জব্দ করা অস্ত্র দু'টি পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি এবং অনুমতি পাওয়া গেছে। দু'টি অস্ত্র থেকে গুলি হয়েছে কি না তা পরীক্ষার জন্য অস্ত্রগুলো সিআইডিতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই পৌর শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৭০ মণ পলিথিন জব্দ ও জরিমানার জের ধরে পরদিন ২ জুলাই সকালে বড়লেখা শহরের উত্তর বাজার এলাকায় একজনের উপর হামলা ও পরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শামীম আহমদ বাদী হয়ে ১৮ জনের ও জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নামোল্লেখ করে থানায় পৃথক দু'টি মামলা করেন। দুই মামলার বাদীরা ঘটনার সময় প্রকাশ্যে আগ্নেআস্ত্রসহ হামলার অভিযোগ এনে শাহজালাল শপিং সিটির অংশীদার সাইদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করেন। মামলার পর পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে সাইদুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।

 

এজে/আরআর-০৭