বড়লেখায় ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি গ্রেপ্তার

বড়লেখা প্রতিনিধি


জুলাই ২৯, ২০২০
১০:১৯ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৯, ২০২০
১০:১৯ অপরাহ্ন



বড়লেখায় ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তান হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ২৬ জুলাই রাতে বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের আজিমগঞ্জ বাজার থেকে সুন্দর আলী নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২৭ জুলাই বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। 

সিআইডি ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাতে বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ভোলারকান্দি গ্রাম থেকে কাতার প্রবাসী আকামত আলীর স্ত্রী মাজেদা বেগম (৩৬), মেয়ে লাবণী বেগম (৭) ও ছেলে ফারুক আহমদের (৪) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নিহত গৃহবধূ মাজেদার চাচাতো ভাই ইমরান আলী ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর রাতে মাজেদা বেগমের চাচাশ্বশুর শরাফত আলীকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ওই বাড়ির তিন নারীকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। মা-সন্তানসহ তিনজনের মৃত্যুকে ঘিরে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়। তখন পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা ছিল এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড। কিন্তু মৃত্যু রহস্যের কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।

কয়েক মাস পর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর হয়। পিবিআই'র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে প্রায় বছরখানেক পর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আদালত পর্যালোচনাপূর্বক প্রতিবেদন গ্রহণ না করে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। প্রায় ৭ মাস আগে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডি'র মৌলভীবাজার কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাস। এরপর প্রযুক্তির সহায়তা ও ছদ্মবেশ ধারণ করে মামলার এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি সুন্দর আলীকে গ্রেপ্তার করেন তিনি। সুন্দর আলী নিহত মাজেদা বেগমের আপন দেবর।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি'র মৌলভীবাজার কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাস আজ বুধবার (২৯ জুলাই) মুঠোফোনে বলেন, 'এটি একটি চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলা। মামলার মূল আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে থাকায় বিচার পাওয়ার বিষয়টি অন্ধকারে ছিল। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে প্রযুক্তির সহায়তা ও ছদ্মবেশ ধারণ করে ঘটনায় জড়িত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার এবং ঘটনার মোডাস অপারেন্ডি জানার জন্য আসামিকে রিমান্ডে এনে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।'

 

এজে/আরআর-০৬