বিয়ানীবাজারে বেড়েছে ডিজিটাল অপরাধ, ৭ মাসে ৪ শতাধিক জিডি

শিপার আহমেদ,বিয়ানীবাজার


আগস্ট ১৩, ২০২০
০৭:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১৩, ২০২০
০৭:৪৫ অপরাহ্ন



বিয়ানীবাজারে বেড়েছে ডিজিটাল অপরাধ, ৭ মাসে ৪ শতাধিক জিডি

সিলেটের বিয়ানীবাজারে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে প্রযুক্তিগত অপরাধ। হুমকি, যৌন হয়রানি, অশ্লীল কথোপকথন, মানসিক হয়রানি, প্রতারণা, ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ আধুনিক নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে। এখানে ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জগতে ডিজিটাল অপরাধের শঙ্কা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সচেতন মহলে বিরাজ করছে নানাবিধ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

বিয়ানীবাজারে খুব প্রাসঙ্গিক কারণেই ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এখন ডিজিটাল অপরাধের প্রসারও ঘটেছে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি এ ধরণের অপরাধের সঙ্গেও ব্যাপকভাবে যুক্ত হচ্ছে। এদের কেউ অপরাধ করছে, আবার কেউ সেই অপরাধের শিকারে পরিণত হচ্ছে। বিয়ানীবাজার উপজেলায় তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী এখন নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণী ও যুবারা। এদের সিংহভাগ ছাত্র-ছাত্রী। একসময় তারা কেবল মোবাইল ফোন ব্যবহার করত। সেই মোবাইলেও এখন আর কেবল কথা বলা নয়, ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন ধরণের কাজে এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই মোবাইল। মোবাইল ফোনের ক্যামেরা প্রযুক্তিও প্রচলিত ফটোগ্রাফির জগৎকে ব্যাপকভাবে ছাড়িয়ে গেছে। নানা ধরণের অ্যাপস এখন মোবাইলকে কম্পিউটারে পরিণত করেছে। আধুনিক মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তারা ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পর্নোগ্রাফির সাইটে ঢুকে মানসিকভাবে অনেকটা বিকৃত হয়ে পড়ছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবকরা।

এ বিষয়ে পূর্ব মুড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খালেদ আহমদ বলেন, 'পারিবারিক সতর্কতা প্রযুক্তিগত অপব্যবহার বন্ধ করতে পারে। তাছাড়া সরকারি বিধিমালাও অনেক ক্ষেত্রে মোবাইলের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।'

বিভিন্ন সূত্র জানায়, পূর্ববিরোধের অংশ হিসেবে একজন অন্যজনকে ফাঁসাতে মোবাইল ফোনে নামে-বেনামে মিথ্যা হুমকি প্রদান করে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত গত ৭ মাসে বিয়ানীবাজার থানায় মোবাইল ফোনে হুমকি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, নারীদের মানসিক হয়রানিজনিত বিষয় উল্লেখ করে প্রায় ৪ শতাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সবগুলো সাধারণ ডায়েরি বেশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেছে পুলিশ।

এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে বিয়ানোবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবণী শংকর কর বলেন, 'আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে অপরাধীকে শনাক্ত করার চেষ্টা করি। চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে প্রায় এক ডজন যুবককে মোবাইল ফোন সংক্রান্ত নানা অভিযোগের জের ধরে আটক করেছে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ। পরবর্তী সময়ে মুচলেকার মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ একাধিকবার মোবাইল ফোন জব্দ করেও ছাত্রীদের ফোন ব্যবহার বন্ধ করতে পারেনি।

 

এসএ/আরআর-০৩