বালাগঞ্জ প্রতিনিধি

জুন ০১, ২০২৫
০২:৪৮ অপরাহ্ন

আপডেট : জুন ০১, ২০২৫
০২:৫২ অপরাহ্ন

বালাগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে করচারপার গ্রাম এলাকায় বালাগঞ্জ-খসরুপুর সড়কে বিগত দিনে স্থাপিত একটি ব্রিজ প্রশস্তকরণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এই ব্রিজের নিচে থাকা খাল দিয়ে কুশিয়ারা নদী ও স্থানীয় করচার হাওড়ের পানি উজান-ভাটি হয়। ফলে এই খালটি খনন এবং খালের উপর ব্রিজটি সংস্কার ও সম্প্রসারণের জোর দাবি ওঠেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খাল খনন করে এই ব্রিজটি বড় করা হলে বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে মানুষের বসতবাড়ি ও করচার হওড়ের কৃষি জমি। 

তাছাড়া বালাগঞ্জ-খসরুপর সড়কের করচারপার গ্রাম এলাকায় আরেকটি সরু কালভার্ট রয়েছে। গত বছরের বন্যায় এটির কিছু অংশ ভেঙে যায়।  ভাঙন আক্রান্ত এই সরু কালভার্টের স্থলে প্রায় ২০ মিটার দৈর্ঘের একটি ব্রিজ নিমার্ণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এই সড়কটির দুই পাশে স্থানীয় বাসিন্দাদের ফসলি জমি ও বসতভিটা রয়েছে। ওই স্থানে কালভার্ট থাকায় গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় কুশিয়ারা নদী থেকে গড়িয়ে পড়া প্রবল স্রোতে ফসলি জমির মধ্যে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়। কালভার্টের স্থলে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি অস্থিত্ব সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সরু কালভার্টের দুইপাশে সরকারি-সেরকরি কোন খাল বা নালা নাই। দুইপাশের কৃষি জমিতে বছরে ৩বার ফসল উৎপাদিত হয়। যখন মাটির রাস্তা ছিলো তখনও এখানে কোনো কালভার্ট ছিল না। এলাকাবাসীর পরামর্শ বা মতামতকে উপেক্ষা করে কয়েক বছর আগে ‘অপরিকল্পিত’ এই কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি এখন উপকারের পরিবর্তে গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে।

তারা অভিযোগ করে বলেন, এই স্থানে ব্রিজ বা কালভার্ট পুনঃনির্মিত হলে দিগর বেড়কুড়ি মৌজার (জেএলনং-১৩৬) অন্তর্ভুক্ত ভিটাবাড়ি, ফসলি জমি ও মৌসুমী সবজি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই ক্ষতির দিক বিবেচনায় নিয়ে এখানে ব্রিজ নির্মাণ না করা এবং বন্যায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ সরু কালভার্টটি অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

এদিকে, ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণ না করা এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সরু কালভার্ট অপসারণের দাবিতে ২৭মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করেছেন বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের করচারপার গ্রামবাসী। এবিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত কুমার চন্দ বলেন, এলাকাবাসীর যৌথিক এদাবি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি প্রেরণের মাধ্যমে সুপারিশ করেছি।

জিসি / ৪