বড়লেখায় অটোরিকশা ও সেলাই মেশিন পেল অসহায় পরিবার

বড়লেখা প্রতিনিধি


আগস্ট ১৭, ২০২০
০৯:৩২ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০২০
০৯:৩২ অপরাহ্ন



বড়লেখায় অটোরিকশা ও সেলাই মেশিন পেল অসহায় পরিবার

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের নির্মাণ শ্রমিক সংগঠনের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত নির্মাণ শ্রমিক হারুনুর রশিদের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে নির্মাণ শ্রমিক বড়লেখা উপজেলা শাখা।

আজ সোমবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নির্মাণ শ্রমিক বড়লেখা শাখার পক্ষ থেকে প্রয়াত হারুনুর রশিদের পরিবারকে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা ও সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে।

বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অটোরিকশার চাবি ও সেলাই মেশিন হস্তান্তর করেন উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ। অটোরিকশাটির মূল্য ১ লাখ ৫ হাজার টাকা।

এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্মাণ শ্রমিক বড়লেখা উপজেলা শাখার সভাপতি জাইজ উদ্দিন। তরুণ সমাজকর্মী আমজাদ হোসেন পাপলুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন নির্মাণ শ্রমিক দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক আহাদুর রহমান।

অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, নির্মাণ শ্রমিক উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মিলন দে, খলাগাঁও উপ-শাখার সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়ান শাখার সাধারণ সম্পাদক হবিবুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ বলেন, 'নির্মাণ শ্রমিকরা নিজেদের একজন প্রয়াত সহকর্মীর অসহায় পরিবারের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছেন এটি বিরল দৃষ্টান্ত। এই উদ্যোগ প্রয়াত এই শ্রমিকের অসহায় শিশুদের মুখে হাসি ফোটাবে। এটি সমাজে অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। উপজেলা পরিষদ থেকে প্রয়াত শ্রমিকের স্ত্রীকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় এনে প্রতিমাসে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।'

নির্মাণ শ্রমিক উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, 'দীর্ঘদিন অসুস্থ থেকে হারুনুর রশিদ মারা যান। তার স্ত্রী ৮ সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন। প্রথম দুইমাস সংগঠনের দুই ইউনিয়ন শাখা থেকে সহযোগিতা দেই আমরা। কিন্তু পরিবারটির দীর্ঘদিনের জন্য সহায়তা দরকার। ছেলে-মেয়েগুলো ছোট। বড় মেয়েটির বয়স ১৪ বছর। অসহায় শিশুগুলোর দিকে তাকলে কষ্ট লাগে। এ অবস্থায় সকলের আর্থিক উদ্যোগ ও উপদেষ্টাদের সহযোগিতায় একটি অটোরিকশা কিনে দিয়েছি। শহরের মাহমুদা ট্রেডার্সের মালিক আলিম উদ্দিন একটি সেলাই মেশিন দিয়েছেন। আমরা কোনোমতে চলি। নিজেদের আয় থেকে বাঁচিয়ে অসহায় সহকর্মী এক শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। এটি করতে পেরে আমাদের সবার ভালো লাগছে। পরিবারটি এখন স্বচ্ছলভাবে চলতে পারবে।'

 

এজে/আরআর-০৮