সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ১৯, ২০২০
১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ১৯, ২০২০
১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ২০, ৩০ এবং ৪০ বছরের কোটায় থাকা লোকজনই করোনাভাইরাসের বিস্তার বেশি ঘটাচ্ছেন। যাদের অনেকেই জানেন না, তারা করোনায় আক্রান্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর জন্য হুমকি তৈরি করছেন। করোনাভাইরাসের বিস্তার দিন দিন বাড়তে থাকায় আজ মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি মাসে বিশ্বজুড়ে সংক্রমিতদের মধ্যে তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে। এটি দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে বৃদ্ধ এবং অসুস্থ লোকজনসহ বিশ্বজুড়ে জনগোষ্ঠীর ঝুঁকিপূর্ণ অংশকে বিপদাপন্ন করে তুলেছে।
সংস্থাটির পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক তাকেশি কাসাই আজ অনলাইন ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে বলেন, ‘মহামারি পাল্টে যাচ্ছে। ২০, ৩০ এবং ৪০ বছরের কোটায় থাকা লোকজন ক্রমবর্ধমান হারে বিস্তার ছড়িয়ে দিচ্ছেন। অনেকেই জানেন না যে, তারা করোনায় আক্রান্ত। এটি করোনা বিস্তারের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে।’
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে এই ভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ২ লাখের বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ৭ লাখ ৭০ হাজারের বেশি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন উত্থান দেখা দেয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিকে তছনছ করে দেয়া এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে বিভিন্ন কোম্পানি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
করোনার নতুন করে উত্থানের খবর ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ডসহ এমন কিছু দেশ থেকে এসেছে, যারা প্রথম দফায় ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছিল বলে মনে করা হয়। আগ্রাসী পরীক্ষা এবং আইসোলেশন ব্যবস্থার কারণে তিন মাস পর ভিয়েতনামে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ১০২ দিন পর নিউজিল্যান্ডেও স্থানীয়ভাবে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
এএফ/০১