যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন লরার তাণ্ডবে ৬ জনের মৃত্যু

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ২৮, ২০২০
০২:৩৮ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৮, ২০২০
০২:৩৮ অপরাহ্ন



যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন লরার তাণ্ডবে ৬ জনের মৃত্যু

হারিকেন লরার তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘণ্টায় দেড়শ মাইল বেগের ঝড়ো হাওয়া নিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। অঙ্গরাজ্যটির কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ঝড়টির তাণ্ডবে লুইজিয়ানা ও অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের প্রায় নয় লাখ ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। একটি শিল্প এলাকার রাসায়নিকেও আগুন ধরেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বৃহস্পতিবার লুইজিয়ানার ছোট শহর ক্যামেরনের ওপর দিয়ে চার মাত্রার এ ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে উঠে আসে।

সেদিন প্রথম প্রহরের বুলেটিনেই ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার এনএইচসি ঝড়ের সতর্কবার্তা দিয়ে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলেছিল।

লুইজিয়ানা ও টেক্সাসের কয়েকটি অংশ থেকে পাঁচ লাখ বাসিন্দাকে সরে যেতেও বলা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্র্যাকিং সাইট পাওয়ারআউটেজের ভাষ্য অনুযায়ী, লরার প্রভাবে লুইজিয়ানার ৬ লাখ বাড়ি এবং টেক্সাসে অন্তত ১ লাখ ৮০ হাজার বাড়ি ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

লেক চার্লস শহর এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলোও ঝড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শক্তি হারিয়ে ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত হওয়া লরা পরে আরকানস’ অতিক্রম করে। এর আগে লরা ও অরেকটি ঝড় মারকো ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়ে ২৪ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়। মারকো সোমবার লুজিয়ানায় আঘাত হেনে প্রবল ঝড় ও ভারি বৃষ্টিপাত ঘটায়।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৭টার দিকে দেওয়া বুলেটিনে এনএইচসি জানায়, ঝড়টি দুর্বল হয়ে এখন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ মাইল বেগের বাতাস নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। ঝড়ের শক্তি কমলেও এটি এখনও তুমুল বৃষ্টিপাতের কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।

লুইজিয়ানার গভর্নর জন বেল এডওয়ার্ডস বলেছেন, যে পরিমাণ ধ্বংসাত্মক ও ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল তা না হলেও ক্ষয়ক্ষতি একেবারে কমও হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি কয়েকদিনের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলটি পরিদর্শনে যাবেন।

ঘূর্ণিঝড় লরার কারণে রিপাবলিকান সম্মেলনে বক্তৃতা না দিয়ে বৃহস্পতিবারই লুইজিয়ানায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন বলেও সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি।  

তিনি কলেন, আমরা খানিকটা ভাগ্যবান। ঝড়টি বেশ বড় ও শক্তিশালী ছিল, যদিও এটি তাড়াতাড়ি চলে গেছে।

ঝড়ে লুইজিয়ানায় ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর এডওয়ার্ডস।

এর মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে গাছ উপড়ে পড়ে। নৌকা ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরজন মারা গেছেন জেনারেটর থেকে নির্গত কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায়। 

ঝড়ের পর উদ্ধার ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ন্যাশনাল গার্ডসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দেড় হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

‌'যদিও এটি বড় ঝড় ছিল, যার ছিল ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা। তবে এটি ততটা ক্ষতি করতে পারেনি, যতখানি করতে পারতো বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল,' বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।

বিএ-০৩