ট্রাম্পের ঠিকানায় পাঠানো চিঠিতে বিষ শনাক্ত

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
০১:৫৫ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
০১:৫৫ অপরাহ্ন



ট্রাম্পের ঠিকানায় পাঠানো চিঠিতে বিষ শনাক্ত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে পাঠানো একটি চিঠিতে বিষ মেশানো ছিল। এতে রাইসিন নামক একটি মারাত্মক বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। তবে হোয়াইট হাউসে পৌঁছানোর আগেই এটি জব্দ করা হয়।

হোয়াইট হাউজের ঠিকানায় পাঠানো যে কোনও চিঠি সেখানে পৌঁছানোর আগে পরীক্ষা নিরীক্ষার একটি আলাদা কার্যালয় রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানেই বিষয়টি ধরা পড়ে।

খামের ভেতরে চিঠিতে রাইসিন নামক একটি মারাত্মক বিষাক্ত পদার্থ মেশানো ছিল। ক্যাস্টর অয়েল তৈরি হয় যে বীজ থেকে, সেই একই বীজ থেকেই তৈরি এই রাইসিন বিষ।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সিডিসি বলছে, রাইসিন এতোটাই বিষাক্ত যে, মাত্র কয়েক ফোটা লবণ দানার সমপরিমাণ রাইসিন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে।

রাইসিন কোনওভাবে খেয়ে ফেললে, নিঃশ্বাসের সঙ্গে অথবা ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে মাথা ঘোরা, বমি শুরু হয়। এরপর শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে থাকে। কতটুকু পরিমাণ রাইসিন শরীরে প্রবেশ করেছে তার ওপর নির্ভর করে ৩৬ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মানুষের মৃত্যু হয়। এর বিষক্রিয়া প্রতিরোধে কোনও প্রতিষেধক নেই।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এবং প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস এখন তদন্ত করে দেখছে যে, এই চিঠি কোথা থেকে পাঠানো হয়েছে। অন্য আরও কাউকে একই ধরনের চিঠি পাঠানো হয়েছে কিনা সেটিও তদন্ত করছে সংস্থা দুটি। তবে এফবিআই জানিয়েছে, আপাতত আর কোনও ধরনের ঝুঁকি তারা দেখছেন না।

একজন কর্মকর্তা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, চিঠিটি কানাডা থেকে পাঠানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার কানাডিয়ান পুলিশ জানিয়েছে যে, বিষয়টি তদন্তে তারা এফবিআই-এর সঙ্গে কাজ করছে।

সিডিসি বলছে, রাইসিন দিয়ে তৈরি গুঁড়ো ও স্প্রে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব।

যুক্তরাষ্ট্রে এর আগেও হোয়াইট হাউসকে উদ্দেশ্য করে রাইসিন মেশানো চিঠি পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও অন্য কয়েকজন কর্মকর্তাকে রাইসিনের গুঁড়ো মেশানো চিঠি পাঠানোর দায়ে ২০১৪ সালে মিসিসিপি-র এক ব্যক্তিকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এর চার বছর পর ২০১৮ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর ও হোয়াইট হাউসে একই ধরনের চিঠি পাঠানোর জন্য একজন সাবেক সেনা সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়। 

বিএ-০৯