শায়েস্তাগঞ্জে চড়া সবজির বাজার

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


অক্টোবর ১০, ২০২০
০৬:৫৬ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১০, ২০২০
১০:২৭ অপরাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জে চড়া সবজির বাজার

শীত আসার আগেই শায়েস্তাগঞ্জে বেড়েছে শাক-সবজির দাম। অসময়ে অতিবৃষ্টির প্রভাবে বাজারে সব ধরণের শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবরকম সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। কাঁচা মরিচের ঝাল কমার লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। কাঁচা মরিচের সঙ্গী হয়েছে করলা ও আলু। কাঁচা লঙ্কার মূল্য আবার ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এককথায় সবজির মূল্য নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজারে আগাম আসা শীতের সবজি শিম ও ফুলকপি প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং বাঁধাকপি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।

আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার সরজমিনে ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান বাজারে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশছোঁয়া। দাউদনগর বাজারে কাঁচামালের মূল্য সপ্তাহের ব্যবধানে ২০/২৫ টাকা বেড়েছে। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি  ২৫০-২৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ডায়মন্ড আলু ৪৫-৫০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা পেঁয়াজ ৮৫-৯০ ও কাঁকরোল ৫০-৫৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, দেশি টমেটো ৮০ টাকা, বিদেশি টমেটো ১২০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা ও দেশি আলু ৫৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ঝিঙা ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫-৬০ টাকা, গাঁজর ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, লালশাক ৫০ টাকা ও পুঁই শাক ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাউদনগর বাজারের খুচরা বিক্রেতা রহমত আলী জানান, দেশের সবজি উৎপাদনের স্থানে বন্যায় সবজি বাগান তলিয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে সবজির আমদানি কম। যে কারণে প্রতিদিন সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমদানি বৃদ্ধি পেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী হোসেন জানান, সবজির দাম কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাড়তি চলছে। বন্যার কারণে সব ধরণের সবজি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

বাজারে আসা ক্রেতা হোসেন আলী জানান, করোনার প্রাদুর্ভাবকালে যখন দূরপাল্লার পরিবহনগুলো বন্ধ ছিল, তখন সবজির মূল্য ছিল নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের মধ্যে। এখন দূরপাল্লার পরিবহনগুলো সচল হওয়ার কারণে এলাকার সবজি বিভিন্ন পাইকারি বাজারে চলে যাচ্ছে। তাই সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম বলেন, 'দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি দেখে আমি ইতোমধ্যে দুইবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তাদের বলেছি কোনোভাবেই ক্রেতাদের কাছ থেকে নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত মূল্য যেন না রাখেন। এর পরেও যদি কোনো বিক্রেতা অতিরিক্ত মূল্য রাখেন, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

এসডি/আরআর-০৩