শায়েস্তাগঞ্জে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলে বিপাকে গ্রাহকরা

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


অক্টোবর ১১, ২০২০
০৫:৪৬ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১১, ২০২০
০৬:১০ অপরাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলে বিপাকে গ্রাহকরা

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিলের কারণে প্রায়ই হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা। অনেককেই আবার গুনতে হচ্ছে জরিমানা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে লকডাউন থাকা অবস্থায় পল্লী বিদ্যুতের লোকবল সংকট ছিল। তখনকার সময়ে শায়েস্তাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বসেই অনুমান করে পুর্বের মিটারের রিডিং দেখে বিল করা হয়েছিল। কিন্তু লকডাউন শেষ হলেও এর বৃত্ত থেকে এখনও বের হতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ। প্রতিমাসেই অনেক গ্রাহকের ভুতুড়ে বিল আসে বলে খবর পাওয়া গেছে। ফলে গ্রাহকরা বিলের কাগজ সঙ্গে নিয়ে জরুরি কাজ ফেলে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অভিযোগ করেন। কারও কারও বিল শুধরে দেওয়া হয়, আবার এই প্রক্রিয়ায় গিয়ে কারও কারও বিল জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ শেষ হয়ে গেলে গুনতে হয় অতিরিক্ত বিলম্বসহ জরিমানা।

এমন একজন গ্রাহক শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার বিরামচর গ্রামের সৈয়দ সামছুল আহমেদ। তার আবাসিক মিটারে গত আগস্ট মাসের বিল এসেছিল ১ হাজার ৪শ ৪৯ টাকা। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে বিল এসেছে ২২ হাজার টাকা! তার ছেলে ভুক্তভোগী গ্রাহক সৈয়দ রুজেল আহমেদ বলেন, 'আমার বাবার নামের মিটারে আমি বিল পরিশোধ করে থাকি। সেপ্টেম্বর মাসের বিল দেখে আমি হতবাক হয়েছি। এরকম ভুল তারা কিভাবে করে? পরে আমি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে মিটার রিডার ও বিল বন্টনকারী আমার বাড়িতে এসে বিল ঠিক করে দিয়ে গেছেন। কম্পিউটারে প্রিন্ট করতে ভুল হয়েছে বলে তারা দুঃখ প্রকাশ করে ২২ হাজার টাকা থেকে এখন বিল ১ হাজার ২শ ৫০ টাকা করে দিয়েছে।'

শুধু রুজেল আহমেদই নন, বর্তমানে এভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন শায়েস্তাগঞ্জের একাধিক সাধারণ গ্রাহক। ফলে পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বশীল কর্মচারীদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার মো. মোতাহার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, 'আসলে করোনাকালীন সময়ে আমাদের লোকবল সংকট ছিল। সে কারণে কিছু সমস্যা হয়েছিল। বর্তমানে আমরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনার ভয়-ডর না রেখেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।'

'ভুতুড়ে' বিল আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, 'আসলে যারা রিডিং লিখে আনেন তারা হয়তো একটা ডিজিট ভুলে বেশি লিখে ফেলছেন। সেজন্য বিল বেশি এসেছে। তবে যেকোনো সমস্যায় আমাদেরকে জানালে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করব।'

 

এসডি/বিএন/আরআর-০১