হার্ড ইমিউনিটি ‘অনৈতিক’: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ১৩, ২০২০
১২:২৪ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৩, ২০২০
১২:২৪ অপরাহ্ন



হার্ড ইমিউনিটি ‘অনৈতিক’: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনা মোকাবিলায় হার্ড ইমিউনিটির ব্যবহারকে সমালোচনায় বিঁধলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। একে তিনি ‘বৈজ্ঞানিক ও নৈতিকভাবে সমস্যাযুক্ত’ বলে উল্লেখ করেন।

ডব্লিউএইচও প্রধান সতর্ক করে জানান, তথা-কথিত হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের আশায় যারা কভিড-১৯ ছড়ানোর অনুমোদন করছেন এটি ‘অনৈতিক’।

সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হার্ড ইমিউনিটি টিকাদানের জন্য ব্যবহৃত একটি ধারণা। যেখানে টিকাদানের লক্ষ্য অর্জিত হলে জনগণকে একটি নির্দিষ্ট ভাইরাস থেকে রক্ষা করা যায়।

উদাহরণ হিসেবে জানান, হামের ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ জনসংখ্যাকে টিকা দেওয়া হলে তবে বাকি পাঁচ শতাংশও ভাইরাসের বিস্তার থেকে রক্ষা পায়। পোলিও’র ক্ষেত্রে এর হার ৮০ শতাংশ।

তিনি বলেন, হার্ড ইমিউনিটি জনগণকে ভাইরাস থেকে রক্ষা করে অর্জিত হয়, তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে নয়। জনস্বাস্থ্যের ইতিহাসে এ ধারণাকে বর্তমানের মতো করে ব্যবহার করা হয়নি। এ কৌশল বৈজ্ঞানিক ও নৈতিকভাবে সমস্যাজনক।

যে বিপজ্জনক ভাইরাসকে আমরা পুরোপুরি জানতে পারেনি তাকে মুক্তভাবে ছেড়ে দেওয়া অনৈতিক। এটি কোনো বিকল্প হতে পারে না।

পাশাপাশি কভিড-১৯ এর প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি সম্পর্কিত তথ্যের অভাব উল্লেখ করেন তিনি। বেশির ভাগ দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করেন। ১০ শতাংশের কম মানুষ ইতিমধ্যে করোনার সংস্পর্শে এসেছে।

এ রোগ প্রতিরোধে কোনো শটকাট পদ্ধতি নেই বলেও উল্লেখ করেন গেব্রিয়েসুস।

এ দিকে কভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে নিশ্চিত কার্যকর কোনো ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি ও টিকা এখনো আবিষ্কার হয়নি।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কোয়ারেন্টাইন ও সামাজিক দূরত্বই সবচেয়ে ভালো হাতিয়ার।

এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরু নাগাদ করোনাভাইরাসের টিকা হাতে পাওয়ার আশাবাদ ইতিমধ্যে একাধিক ব্যক্ত করেছেন ডব্লিউএইচও প্রধান।

গত বছর চীন থেকে এ ভাইরাস ছড়ায়। ইতিমধ্যে ৩ কোটি ৭৬ লাখের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ।

বিএ-১২