সিলেট ও লাহিজান হবে ‘সিস্টার সিটি’

নিজস্ব প্রতিবেদক


অক্টোবর ১৪, ২০২০
০৪:৪২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৪, ২০২০
০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন



সিলেট ও লাহিজান হবে ‘সিস্টার সিটি’
দুই মেয়রের ভার্চুয়াল সভা

সিলেট অঞ্চল চায়ের জন্য বিখ্যাত। একইভাবে ইরানের গীলান প্রদেশের লাহিজান সিটিও চায়ের জন্য বিখ্যাত। প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিয্যে সাদৃশ্যর্পূণ বাংলাদেশের সিলেট ও ইরানের লাহিজানকে ‘সিস্টার সিটি’ করায় সম্মত হয়েছেন উভয় সিটি করপোরেশনের মেয়র। ভার্চুয়াল সৌজন্য সভায় তারা এ বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে ইরানের গীলান প্রদেশের লাহিজান সিটি করপোরেশনের মেয়র ইউসুফ কিয়ামাতিয়ুনের ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। লাহিজান সিটির মেয়র দুই সিটিকে ‘সিস্টার সিটি’তে পরিণত করার প্রস্তাব দিলে সিলেট সিটির মেয়র সম্মতি প্রকাশ করেন। ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত সভা সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর ড. সাইয়্যেদ হাসান সেহাত। 

সভায় লাহিজান সিটি মেয়র ইউসুফ ক্বিয়ামাতিউন বলেন, ‘ইরানের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে লাহিজানের সঙ্গে বাংলাদেশের সিলেটের অনেক মিল রয়েছে। বিশেষ করে চা উৎপাদনে দুই দেশের এই দুটি এলাকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চা উৎপাদন ও রপ্তানি, পর্যটন, স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি এসব বিষয়ে লাহিজান সিটি সিলেট সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে পারে।’

ঢাকার ইরান হাই কমিশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী লাহিজানের সিটি মেয়রসহ হাই কমিশনারকে সিলেট সিটি করপোরেশনে আমন্ত্রণ জানান। তিনি মনে করেন, অনলাইন এই সভার মাধ্যমে লাহিজান সিটির সঙ্গে সিলেট সিটির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা হলো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিশেষ করে চায়ের উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে অভিন্ন সম্পর্কটি দুই নগরের অন্যান্য কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘পর্যটন, চা গবেষণা, উৎপাদন ও রপ্তানি খ্যাতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এর জন্য দুই সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় লাহিজান সিটি ও সিসিক করণীয় নির্ধারণ করবে।’ সিলেট তথা বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

চা-গবেষণা, উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানির বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে দক্ষ চা-শ্রমিক রয়েছে। যারা বিদেশে গিয়ে কাজ করতে সক্ষম। লাহিজান এদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নেওয়ার বিষয়টি চিন্তা করতে পারে।’

এ সময় প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট সিটি করপোরেশন ও লাহিজান সিটির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন সিসিক মেয়র।

সভায় ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফা দুই মেয়রের এই সৌজন্য ভার্চ্যুয়াল সভাকে স্বাগত জানান এবং সিস্টার সিটি হিসেবে ভবিষ্যতে নেওয়া যৌথ উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সেইসঙ্গে চা উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও রপ্তানি সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা বিনিময় করা, ভূ-গর্ভস্থ পানি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা কর্মসূচি নিয়েও দুই সিটি কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিএ-০৩