করোনা ঠেকাতে ফ্রান্সে কারফিউ

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ১৫, ২০২০
১২:৩১ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৫, ২০২০
১২:৩১ অপরাহ্ন



করোনা ঠেকাতে ফ্রান্সে কারফিউ

কিছুদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার পর ফের ফ্রান্সে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। ছোঁয়াচে এই ভাইরাসের দ্রুত গতির ছড়িয়ে পড়া রোধে রাজধানী প্যারিস ও আরও আটটি শহরে রাত্রিকালীন কারফিউ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ফরাসি প্রেসিডেন্ট জানান, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থানীয় সময় শনিবার থেকে নয়টি শহরে শুরু হবে অন্তত চার সপ্তাহের রাত্রিকালীন কারফিউ। এই সময়ে কারফিউয়ের সময়সীমা ৯টা থেকে ভোর ৬টা।

সেই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করেছে ফ্রান্স সরকার। প্যারিসসহ ফ্রান্সের যে শহরগুলোতে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলো হলো- মার্সেই, লিওঁ, লিলে, সেন্ত-এতিয়েনে, রুয়েন, তুলুস, গ্রেনোবল ও মঁপেলিয়ে।

এই কারফিউয়ের আওতায় পড়বে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ। আপাতত চার সপ্তাহের জন্য হলেও ম্যাক্রোঁ সরকার এর সময়সীমা ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। সন্ধ্যা থেকে রাত্রীকালীন সময়ে এই কারফিউয়ের সময় বাসিন্দারা রেস্টুরেন্ট বা কারও বাড়িতে বেড়াতে যেতে পারবেন না।

তবে বৈধ কারণ দেখানো সাপেক্ষে বাসিন্দারা তাদের বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন কারফিউ সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় জানিয়েছেন ম্যাক্রোঁ। বলেছেন, তিনি এটা বুঝতে পারছেন যে, জনগণকে এই নির্দেশনা পালন করার আহ্বান জানানোটা ‘কঠিন’।

অতি প্রয়োজনীয় যাতায়াতে অনুমিত দেওয়া হবে। তবে অহেতুক কেউ কারফিউ ভঙ্গ করলে ১৩৫ ইউরো জরিমানা গুনতে হবে। এই সময়টায় শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে। জনসাধারণও দিনের বেলায় এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে ভ্রমণে যেতে পারবে।

এ ছাড়া নতুন নির্দেশনায় নিজ বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের ছয়জনের বেশি জমায়েত না হতে বলা হয়েছে। অবশ্য বড় পরিবারের ক্ষেত্রে এই বিধি’র জের ফের হতে পারে।

এদিকে, ইউরোপের অন্যান্য দেশেও করোনার প্রাদুর্ভাব উঠতির দিকে। সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় রেকর্ড ৬ হাজার ৬৩৮ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠিন বিধিনিষেধ আরোপে জার্মানির ১৬টি ফেডারেল অঙ্গরাজ্যের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের মতৈক্য হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই দেশটিতে নতুন সংক্রমণের এই উল্লম্ফনের খবর আসে।

কভিড-১৯ এর নতুন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জার্মান চ্যান্সেলর নির্দিষ্ট সংখ্যকের বেশি মানুষজনকে কোথাও সমবেত না হতে আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে জনাকীর্ণ এলাকায় বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে বলেছেন।

গৃহীত নতুন পদক্ষেপ অনুযায়ী, কোনো এলাকায় প্রতি ১ লাখ জনসাধারণের মধ্যে ৩৫ জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত হলে সেখানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে।

বিএ-০৮