মেটলাইফের ব্যবস্থাপক কবিরের অনিয়ম, ভুক্তভোগীদের ৩ দিনের আল্টিমেটাম

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ২৫, ২০২০
০৫:৫২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৫, ২০২০
০৫:৫২ পূর্বাহ্ন



মেটলাইফের ব্যবস্থাপক কবিরের অনিয়ম, ভুক্তভোগীদের ৩ দিনের আল্টিমেটাম

আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি মেটলাইফের অধিভুক্ত সিলেটের ‘কবির খান এজেন্সি’ এর ব্যবস্থাপক কবির উদ্দিন খানের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করেছেন ভুক্তভোগী ফিনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েট ও ইউনিট ব্যবস্থাপকবৃন্দ।

শনিবার দুপুরে সিলেট নগরের বারুতখানার সিম্ফনি হাইটস ভবনের ‘কবির খান এজেন্সি’ এর সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

অভিযোগকারিরা জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেও কোনো সমাধান হয়নি। এছাড়া মেটলাইফ চিফ এজেন্সি অফিসার বরাবরে গত ১৮ অক্টোবর ই-মেইল ও কুরিয়ার মারফত অভিযোগ দায়ের করা হয়। গতকাল শনিবার সিলেটে দায়িত্বরত সেলস ম্যানেজার শামীম আহমদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ফিনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েট ও ইউনিট ব্যবস্থাপকরা জানান, আগামী ২৭ অক্টোবর বেলা ২টার মধ্যে এ বিষয়ে কোনো সমাধান না হলে ওই দিন বিকেল ৩টায় নগরের দরগাহ গেইট এলাকার মেটলাইফ সেলস অফিস ঘেরাওসহ আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। 

অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা বলেন, ‘কবির খান এজেন্সি’র ব্যবস্থাপক কবির উদ্দিন খান নানা অনিয়ম ও প্রতিষ্ঠান বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত সেক্রেটারিবৃন্দ কবির খানের কথায় অফিসের কাজ বাদ দিয়ে নিজেরা গ্রাহকদের পলিসি করাতে ব্যস্ত থাকেন। এছাড়াও সনদ জাল করে ফিনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েট নিয়োগ দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট ফরমেট ছাড়াই কবির উদ্দিন ব্যক্তিগত ফরমেটে গ্রাহকদের পলিসি করান। এছাড়াও কবির উদ্দিন মেটলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির লগো দেখিয়ে লোক নিয়োগ দিয়ে ফিনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েট কোড তৈরির পর  পরবর্তীতে সেটাকে তার ভাইয়ের কোম্পানি চার্টার্ড লাইফ ইন্সুরেন্স-এ স্থানান্তরিত করেন।

বক্তারা আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারণে কবির উদ্দিন খানের অনিয়মের বিষয়ে নিরব ভূমিকা পালন করেন। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলায় ইতিপূর্বে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে অজিত কুমার ভট্টাচার্য্য (৬৩) ও বিনয় ভূষণ দে (৩৫) নামের দুজন ইউনিট ব্যবস্থাপকের চুক্তি বাতিল করান কবির উদ্দিন। এছাড়াও এই দুই ব্যবস্থাপকের সকল গ্রাহককে কবির উদ্দিন তার নিজস্ব কোডে স্থানান্তরিত করতে অজিত কুমার ও বিনয় ভূষণকে অফিসে প্রবেশ না করার জন্য হুমকি দেন। এমনকি তিনি বাসায় গিয়েও তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। তিনি বার বার প্রতিশ্রæতি দিয়েও রক্ষা করেননি। বরং তার নিজস্ব বলয় তৈরি করে অন্যায়-অবিচার অব্যাহত রেখেছেন। তাই কবির উদ্দিনের এইসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা পথে নেমেছি, প্রতিবাদ করছি। এর সমাধান না হলে আরও কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে মো. শহিদুজ্জামান, মো. রাসেলুজ্জামান, মো. মিজানুর রহমান, শীলা দে, জুবের আহমদ, তাহমিনা আক্তার, মো. সুমন, ওয়াহিদ আকিল, তাজুল ইসলাম, আলী হোসেন, জিয়াউল হক, রইছ মুন্সি, জহির আহমদ খান, আব্দুল্লাহ ফয়সাল, ফয়সল আহমদ, কল্পনা রাণী, নুরুল ইসলাম, এস ডি সুমেলসহ ভুক্তভোগী ফিনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েট ও ইউনিট ব্যবস্থাপকরা উপস্থিত ছিলেন। 

বিএ-০৫