জৈন্তাপুরে পাহাড় ও রাস্তা কর্তন, বিপাকে পাঁচ গ্রামের মানুষ

মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর


নভেম্বর ০২, ২০২০
০৩:০২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০২, ২০২০
০৩:০২ পূর্বাহ্ন



জৈন্তাপুরে পাহাড় ও রাস্তা কর্তন, বিপাকে পাঁচ গ্রামের মানুষ

সিলেটের জৈন্তাপুরে পাহাড় ও রাস্তা কেটে ৫টি গ্রামের মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন এক ব্যক্তি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্ধা হর্নি গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে মো. আব্দুল হান্নান (৫২) গ্রামবাসীর চলাচলের রাস্তাটি এবং পাহাড় কেটে উত্তর কালিঞ্জি, মধ্য কলিঞ্জি, দক্ষিণ কালিঞ্জি, নয়াগ্রাম এবং হর্ণি গ্রামের মানুষজন, স্কুল কলেজ ও মাদরাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন।

গ্রামের মুছব্বির আলী, নূর উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন, আব্দুস শুকুর, কবির আহমদ, আব্দুল মালিক ও ফরিদ আহমদসহ অন্তত শতাধিক বাসিন্দা জানান, একটি কুচক্রি মহলের শলাপরামর্শে আব্দুল হান্নানের পরিবারের একাধিক বাড়ি থাকার পরেও গ্রামবাসীর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করতে চলাচলের রাস্তাসহ পাহাড় কর্তন করেছেন তিনি। যার ফলে ৫টি গ্রামের মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। হর্ণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৫০ গজ সামনে যাওয়ার পর আব্দুল হান্নানের জমি থাকার কারণে তিনি পাহাড় কর্তন করেছেন এবং গ্রামবাসীর চলাচলের রাস্তাটি বিলীন করেছেন। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার তাকে অনুরোধ করা হলেও তিনি বিষয়টিতে কর্ণপাত করছেন না। ফলে গ্রামবাসী উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, হান্নানের এমন কর্মকাণ্ডে এবং পাহাড় কাটার কারণে কাটাগাং নদীর ভাঙন বৃদ্ধি পাবে। এলাকার রাস্তাসহ কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। পাহাড় ও রাস্তা কর্তনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ৫টি গ্রামে বসবাসকারী জনসাধারণের চলাচল, রোগী পরিবহন এবং স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলে মারাত্মক অসুবিধা সৃষ্টি হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুল হান্নান বলেন, 'এদিকে সরকারি কোনো রাস্তা নেই। আমার বাড়ি তৈরি করার জন্য পাহাড় কর্তন করছি।'

পাহাড় কাটার অনুমতি নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'নিজের ভূমিতে বাড়ি নির্মাণ করব, সেখানে প্রশাসনের অনুমতির কোনো প্রয়োজন নেই।'

এ বিষয়ে নিজপাট ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবুর রহমান মুজি বলেন, 'আমি বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। পাহাড় কাটার বিষয়টি সঠিক। জনসাধারণ চলাচলের রাস্তার বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।' পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে পাহাড় কাটার বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফারুক হোসোইন বলেন, 'আমি ছুটিতে আছি। এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ করলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

 

আরকে/আরআর-১৭