সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ০২, ২০২০
০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ০২, ২০২০
০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
আয়কর মেলা না হলেও দপ্তরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে করদাতারা সেবা পাবেন বলে জানিয়েছেন কর অঞ্চল সিলেটের কর কমিশনার মো. সাইফুল হক। গতকাল রবিবার সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, ‘আয়কর মেলার আদলে সিলেট কর অঞ্চলের সবগুলো দপ্তরে করদাতারা রিটার্ন জমা দিতে পারবেন, একইসঙ্গে সব ধরনের সেবাও পাবেন। তিনি বলেন, ‘গত ২০১২ সাল থেকে সারা দেশের মতো সিলেট কর অঞ্চলেও আয়কর মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর মেলার আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ অবস্থায় ১ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সিলেটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবমুখর পরিবেশে সিলেট কর অঞ্চলের আওতাধীন মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি সার্কেলে তথ্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা নিতে পারবেন করদাতারা।’
তিনি জানান, মাসব্যাপী সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সিলেট কর অঞ্চলের নয়াসড়ক ভবনের নিচতলায় একটি কর তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব তথ্য সেবা কেন্দ্রে ইটিআইএন রেজিস্ট্রেশন, রিটার্ন গ্রহণ, আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত বিভিন্ন ফরম সরবরাহ, অধিক্ষেত্র সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ এবং কর সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।
মতবিনিময় সভায় কর কমিশনার জানান, করদাতার নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে কর দিয়ে গেলে মাসের শেষ দিকে ভিড় কম হবে। আর করোনা পরিস্থিতির জন্য সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থবিধি মেনে রিটার্ন দাখিল ও সেবা দেবেন তারা। সব দপ্তরে একই আদলে সেবা দেওয়া হবে।
এছাড়া যাদের পূর্বের কোনো বিনিয়োগ দেখাতে পারেননি, এবার অর্থ আইনের মাধ্যমে সিকিউরিটি বিনিয়োগ, অপ্রদর্শিত সম্পত্তিতে বা ভবনে বিনিয়োগ নির্দিষ্ট হারে আয়কর প্রদানের মাধ্যমে প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই আইনের আওতায় অপ্রদর্শিত সম্পত্তির উপর কর দিলে অন্য কোনো আইনে কেউ বিপত্তিতে পড়তে হবে না। সিলেটের করদাতাগণকে এই সুযোগ গ্রহণ করে জাতীয় উন্নতিতে অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কর কমিশনার বলেন, কর অঞ্চল সিলেটে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে জরিপ কার্যক্রম চলমান ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে জরিপ কাজ বন্ধ রাখা হয়। তবে অচিরেই আবার এই কার্যক্রম শুরু করা হবে। তাছাড়া প্রতিবছর বাজেটের আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ছে। এবছর সিলেট কর অঞ্চলের লক্ষ্যমাত্রা ৯৯১ কোটি টাকা। করোনা পরিস্থিতির কারণে এই লক্ষ অর্জন সম্ভব না হলে কাছাকাছি পৌঁছাবে বলে আশাবাদী সিলেট কর অঞ্চল।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কর কমিশনার মোহাম্মদ আবু সায়ীদ সোহেল, যুগ্ম-কমিশনার শাহেদ আহমেদ চৌধুরী ও পঙ্কজ লাল সরকার, উপ কর কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) মো. আবু সাঈদ প্রমুখ।
আরসি-০৪