নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ০২, ২০২০
০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ০২, ২০২০
০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
সিলেট জেলা জজশিপের ভিন্ন ভিন্ন আদালতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি হিসেবে স্থানীয়দের নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন সিলেটের আইনজীবীরা। নতুন কোনো নিয়োগ হয়ে থাকলে তা বাতিল এবং বহুল প্রচলিত স্থানীয় কোনো সংবাদপত্রে পুনঃবিজ্ঞপ্তিরও দাবি জানান তারা।
রবিবার (১ নভেম্বর) বেলা ২টায় জেলা আইনজীবী সমিতির ২ নম্বর হলে অনুষ্ঠিত এক তলবি সভায় এই দাবি জানানো হয়।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. নাসির উদ্দিন খানসহ ১০৬ সদস্যের তলবের প্রেক্ষিতে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ টি এম ফয়েজ উদ্দিন। সভায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক সেলিমও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘২০১৫ সালে হাইকোর্টের একটি অধ্যাদেশে, আদাতের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি পদে স্থানীয়দের নিয়োগ দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছেন। কারণ, ভিন্ন কোনো জেলার বাসিন্দাদের এই পদে নিয়োগ করা হলে, তাঁরা একসময় বদলি হয়ে চলে যাবেন। এতে করে শূন্য পদের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি কর্ম পরিচালনায়ও ব্যাঘাত ঘটে। তাই এই পদে স্থানীয়দের নিয়োগ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে অধ্যাদেশের মাধ্যমে।
কিন্তু এই আদেশ অনুসরণ করা হচ্ছে না অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি সিলেট জেলা জজশিপের বিভিন্ন আদালতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি নিয়োগের ক্ষেত্রে এই আদেশ অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে আমরা লক্ষ করছি। এই পদগুলোতে নিয়োগের জন্য গত ২ অক্টোবর সিলেটের বহুল প্রচলিত নয়, এমন একটি স্থানীয় সংবাদপত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতরা এই কাজটি করেছেন। যেন সিলেটের স্থানীয় বাসিন্দারা এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে না পান। স্থানীয়রা তা না দেখলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে পারেন।
বক্তারা আরও বলেন, ইতোমধ্যে কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকলে, তা বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে সিলেটে বহুল প্রচলিত এমন কোনো সংবাদপত্রে পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. হুমায়ূন রশীদ ও মাসুদুর রহমান খানের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত তলবি সভায় আলোচনায় অংশ নেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য বদরুল আহমদ চৌধুরী, জোহরা জেসমিন, আব্দুল হাই, সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক, মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, জামিল আহমদ রাজু, দেলোয়ার হোসেন শামীম, মো. মিনহাজ উদ্দিন খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুছ, মোহাম্মদ আলী, মোসলেহ উদ্দিন, মো. আবু সালেহ চৌধুরী ও সাবেক সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন। এ সময় সমিতির ১৩০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আরসি-০৫