বাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ০৮, ২০২০
০১:৩৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০৮, ২০২০
০১:৩৮ পূর্বাহ্ন



বাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ১০৩ তম বার্ষিকী ও বাসদের (মার্কসবাদী) ৪০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৩ টায় নগরের কোর্ট পয়েন্টে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার আহ্বায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য মুখলেছুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশীদ সোয়েব। সমাবেশ শেষে জনজীবনের বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, লাল পতাকাসহ সুসজ্জিত মিছিল কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে আম্বরখানা পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে দেশের মানুষের জীবন -জীবিকা আজ বিপর্যস্ত। করোনাজনিত অর্থনৈতিক মন্দার অজুহাতে ছাঁটাই -বেতন কর্তন চলছে, বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বাড়ছে। প্রবাসীরা অনেকে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে আসছেন। আওয়ামী লীগ সরকার ২৫টি রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধ করে দিয়ে ৬০ হাজার শ্রমিককে এক ধাক্কায় বেকার করে দিয়েছে, পাটচাষীদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের বোঝা, বর্ধিত গাড়িভায়ায় মানুষ দিশেহারা। অর্থনৈতিক সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমজীবী মানুষ -কৃষক -নিম্নবিত্তকে সহায়তা দেয়ার পরিবর্তে সরকার প্রধানত শিল্পপতি -ব্যবসায়ীদের আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে।’ 

বক্তারা বলেন, ‘দেশের এই পরিস্থিতিতে আরও উদ্বেগ তৈরি করেছে দেশব্যপী ধর্ষণ -গণধর্ষণের ঘটনা। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের দ্বারা এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছে যা সিলেটের সকল মানুষকে আতঙ্কিত করেছে। স¤প্রতি সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যুবক রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের মূল হোতা এসআই আকবর এখনও গ্রেপ্তার হয়নি, বলা হচ্ছে সে ভারতে পালিয়ে গেছে। পুলিশ হেফাজত থেকে কিভাবে পালালো তাঁর ব্যখ্যা নেই। লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার গুজব রটিয়ে  জুয়েল নামে একজনকে শতশত মানুষ পিটিয়ে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। বর্তমান সরকার তার শাসন ক্ষমতা ধরে রাখার প্রয়োজনে মৌলবাদী শক্তির সাথে আপোষ করছে।’ 

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘করোনা মহামারি শিক্ষা দিল-আমরা কেউ একা বাঁচতে পারবনা, সামাজিক সংহতি ও সম্মিলিত প্রতিরোধ জরুরি। সবার স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা না গেলে কেউ নিরাপদ নয়। গনমুখী স্বাস্থ্যব্যবস্থা, মানুষের জীবিকার নিশ্চয়তা ও সাম্য ছাড়া মহামারি প্রতিরোধ সম্ভব নয়। ধনীদের মুনাফার লক্ষ্যে পরিচালিত অর্থনীতি নয়, চাই সব মানুষের জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে পরিচালিত সমাজব্যবস্থা।তার জন্য চাই শোষকদের উচ্ছেদ করে শোষিতদের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিপরীতে সমাজতান্ত্রিক ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠা আজ সময়ের দাবি।’  

বিএ-০৮