‘সমবায়ের মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব’

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ০৮, ২০২০
০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০৮, ২০২০
০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন



‘সমবায়ের মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব’
সমবায় দিবস পালিত

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মশিউর রহমান (এনডিসি) বলেছেন, ‘শতাব্দীপ্রাচীন সমবায় আন্দোলন বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সমবায়ের চেতনাকে প্রবল ও অর্থবহ করে তুলেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম-লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। তিনি দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে গণমুখী সমবায় আন্দোলনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সংবিধানে মালিকানার নীতি হিসেবে সমবায়কে জাতীয় অর্থনীতির দ্বিতীয় খাত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে সমবায়ের মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।’

৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে শনিবার সমবায় বিভাগ সিলেট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ এ প্রতিপাদ্যে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মূলমন্ত্র সমবায় ভিত্তিক সমাজ গঠন। বঙ্গবন্ধু এই সত্যটি উপলব্ধি করে দেশ স্বাধীনের পরই প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমবায়ের ভিত্তিতে পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামাঞ্চলে দরিদ্রের হার কমাতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। শহর ও গ্রামের মধ্যে বৈষম্য দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। বিগত দশ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এভাবে প্রতিটি গ্রামকে যদি আমরা সমবায়ের ভিত্তিতে গড়ে তুলতে পারি তাহলে অচিরেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন ঘটবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বনির্ভরতা অর্জন ও দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশের সমবায় আন্দোলন ঈপ্সিত লক্ষ্য অর্জনে সফলতার পথে এগিয়ে চলেছে। তাই সমবায় কার্যক্রমকে গতিশীল, সক্রিয় এবং যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্টরা আরও তৎপর হলে এই খাত প্রসারিত হবে।’

সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ বলেন, ‘সমবায় সমিতির সদস্যরা নিজেদের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও বিরাট অবদান রেখে চলেছেন।’

সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা সমবায় কর্মকর্তা উম্মে মরিয়মের সঞ্চালনায় সমবায়ীদের মধ্যে বক্তব্য দেন, লালবাজার মৎস্য সমবায় সমিতির প্রধান গোলজার আহমদ, প্রতিশ্রæতি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির প্রধান শিরীন আক্তার, শ্রমজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা অর্জনে সমবায়ের গুরুত্ব অপরিসীম।’  

আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক মাওলানা জিয়াউর রহমান ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন সিলেট কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি সুশেন্দ্র চন্দ্র নম: খোকন। এর আগে জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ।

বিএ-০৪