ইথিওপিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩৪

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ১৬, ২০২০
১২:৫৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৬, ২০২০
১২:৫৫ পূর্বাহ্ন



ইথিওপিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩৪

ইথিওপিয়ার তাইগ্রে অঞ্চলে সরকারি ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে সংঘাত তীব্র রূপ ধারণ করেছে। এর মধ্যে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বাসে উঠে গুলি করে ৩৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার দেশটির জাতীয় মানবাধিকার সংগঠন ইথিওপিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন এই তথ্য জানিয়েছে।

আগের দিন রাতে ইথিওপিয়ার বেনিশানজুল-গুমুজ অঞ্চলে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

দেশটির উত্তরাঞ্চলে সরকারি বাহিনী ও তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট পার্টির (টিপিএলএফ) বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। তবে বাসে বন্দুক হামলার সঙ্গে ওই লড়াইয়ের যোগসূত্র আছে কী না জানা যায়নি।

এক বিবৃতিতে ইথিওপিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন বলেছে, বেনিশানজুল-গুমুজ অঞ্চলের দেবাট প্রশাসনিক এলাকায় কয়েকজন বন্দুকধারী একটি যাত্রীবাহী বাসে উঠে হামলা চালায়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ৩৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

কমিশনটি আরও বলে, বাসে ওই হামলা ছাড়াও অন্য তিনটি এলাকায় একই ধরনের হামলার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সংঘাতের মুখে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়া লোকদের ওপরও হামলা হয়েছে।

এর আগে টাইগ্রে অঞ্চলে বড় ধরনের হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ধারণা করা হচ্ছে, টিপিএলএফ সমর্থিত বাহিনী এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। যদিও তারা এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে।

টাইগ্রে, ইরব এবং কুনামা নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল ইরিত্রিয়া ও সুদান সীমান্তবর্তী টাইগ্রে। ২০১৮ সাল থেকে নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলো সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে।

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ক্ষমতা গ্রহণের পরই অশান্ত হয়ে ওঠে টিপিএলএফ অঞ্চলটি।

দীর্ঘদিন ধরে ইথিওপিয়ার ক্ষমতাসীনদের শক্তিশালী মিত্র ছিল টাইগ্রে নেতারা। তবে আবি আহমেদ ক্ষমতায় আসলে তার প্রতি সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানান তারা।

গত সপ্তাহে টাইগ্রে নেতাদের প্রতি অনুগত বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। সামরিক ঘাঁটিতে হামলার জেরে এই অভিযান শুরু হয়েছে বলে দাবি করে দেশটির সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় সংঘাত আরও তীব্র রূপ ধারণ করে, যার জেরে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক ইতিমধ্যে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী সুদানে আশ্রয় নিয়েছে। টাইগ্রে এলাকায় মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

বিএ-২৪