বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : আশ্বাসে স্থগিত হলো আন্দোলন

বড়লেখা প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
০১:১৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
০১:১৫ পূর্বাহ্ন



বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : আশ্বাসে স্থগিত হলো আন্দোলন

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মধ্যরাতে ফেসবুক লাইভে 'মিথ্যা ও বানোয়াট' ভিডিও প্রচারের প্রতিবাদে আজ শনিবার সকালে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা আন্দোলনের ডাক দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে সংশ্লিষ্টরা পরে আন্দোলন স্থগিত করেন। এর আগে হাসপাতালের সভাকক্ষে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জনৈক নাজমুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন নারী রোগীকে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা তাৎক্ষণিক ওই রোগীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন ও কাউন্সিলিং করেন। এরপরও নাজমুল ইসলাম ফেসবুক লাইভে নারী চিকিৎসক ও নার্সদের উদ্দেশে অশালীন আচরণসহ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তা বিভিন্ন পোর্টালে ভাইরাল হয়। মিথ্যা অভিযোগের ভিডিও ভাইরালে দেশ-বিদেশে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তথা স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল, চিকিৎসক ও নার্সদের সুনাম ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে সংশ্লিষ্টরা কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসূচির ডাক দেন।

আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক-নার্সদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ও ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান আগামী দুইদিনের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদ্বীপ বিশ্বাস, আরএমও ডা. শারমিন আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান প্রমুখ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদ্বীপ বিশ্বাস জানান, জনৈক নাজমুল ইসলাম ফেসবুক লাইভে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা ভিডিও ভাইরাল করেন। এতে হাসপাতাল ও চিকিৎসক-নার্সদের মারাত্মক সম্মানহানি হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ায় ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও আগামী দুইদিনের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

 

এজে/আরআর-১৪