হাম-রুবেলার ঝুঁকিতে মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
০৮:৫১ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
১১:৫৮ অপরাহ্ন



হাম-রুবেলার ঝুঁকিতে মৌলভীবাজার

বাংলাদেশের শিশুদের বর্তমানে হামে আক্রান্ত হওয়া এবং প্রকোপের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামের জীবাণু দ্রুত ছড়ায়। মৌলভীবাজার জেলাও এ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। হাম এবং রুবেলা ভাইরাসজনিত দু'টি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এ দু'টি রোগ সাধারণত একজন আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। হামের জটিলতাগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অপুষ্টি, এনকেফালাইটিস, অন্ধত্ব ও বধিরতা অন্যতম।

আজ বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ইপিআই হলরুমে সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডা. তওহীদ আহমদের সভাপতিত্বে ক্যাম্পেইন নিয়ে সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করেন ডা. শফিউল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম শেফুল, সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্তসহ প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইতোপূর্বে ১৮ মার্চ হতে ১১ এপ্রিল ২০২০ তারিখে প্রস্তাবিত হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন ২০২০ কোভিড-১৯ জনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে স্থগিত করা হয়। বিভিন্ন সময়ে হাম ক্যাম্পেইন ও হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা সত্ত্বেও রোগ নিরীক্ষণ তথ্য অনুযায়ী ২০১৭ সাল থেকে দেশব্যাপী হাম রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এবং তা এখনও বিদ্যমান আছে। ফলে উদ্দিষ্ট শিশুরা হাম রুবেলা রোগ জনিত মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা সাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের মাধ্যমে স্থগিত হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সে অনুযায়ী  মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল ও বড়লেখা পৌরসভায় ১২ ডিসেম্বর থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবং উপজেলা পর্যায়ে আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ৯ মাস থেকে ১০ বছরের কমবয়সী সকল শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। শিশু ও অভিভাবকদের টিকাদান কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও অধিক সময় অপেক্ষারোধ নিশ্চিতকল্পে এবার কর্মকৌশলে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

বলা হয়, এবারের ক্যাম্পেইন ৩ সপ্তাহের পরিবর্তে ৬ সপ্তাহব্যাপী পরিচালিত হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্যাম্পেইন হবে না। ক্যাম্পেইন কমিউনিটি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। ক্যাম্পেইন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত)। ঝুঁকিপূর্ণ, দুর্গম, বিশেষ এলাকার জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্র পরিচালিত হবে। ওই এলাকার শিশুদের প্রয়োজনে অভিভাবকদের সুবিধাজনক সময়ে (বিকেলে বা রাতে) টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে ভোরে অথবা সন্ধ্যাকালীন কেন্দ্র পরিচালনা করা হবে। 

ক্যাম্পেইন চলাকালে যেকোনো অপপ্রচার প্রতিহত করে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রদান করার অনুরোধ জানান সিভিল সার্জন ডা. তওহীদ আহমদ।

 

এসএইচ/বিএন-০৭/আরআর-০৪