কুলাউড়ায় পাকা ঘর পাচ্ছে ১১০টি ভূমিহীন পরিবার

কুলাউড়া প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
১২:৫২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
১২:৫২ পূর্বাহ্ন



কুলাউড়ায় পাকা ঘর পাচ্ছে ১১০টি ভূমিহীন পরিবার

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ভূমিসহ পাকা ঘর পাচ্ছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ১১০টি পরিবার। গতকাল সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সেই গৃহনির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখে গেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) মো. আলী নেওয়াজ রাসেল। এ সময় তিনি উপজেলার জয়চন্ডী ও রাউৎগাঁও ইউনিয়নে নির্মিত ১২টি ঘরের কাজ পরিদর্শন করেন। 

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক তালিকাভুক্ত ৪৪০টি ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১১০টি পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ পাকা ঘর। তার মধ্যে আছে উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে ৪টি, জয়চন্ডীতে ৫টি, রাউৎগাঁওয়ে ১২টি, টিলাগাঁওয়ে ১৫টি, পৃথিমপাশায় ৩৫টি, শরীফপুরে ৩০টি এবং হাজিপুর ইউনিয়নের ৯টি পরিবার। এ নিয়ে গত ১২ নভেম্বর ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে উপকারভোগী নির্বাচন, গৃহনির্মাণ কাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কুলাউড়া উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।

সোমবার পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মো. আলী নেওয়াজ রাসেলের সঙ্গে ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজরাতুন নাঈম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শিমুল আলী, রাউৎগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল, ইউপি সদস্য নোমান আহমদসহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা এবং এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

পরিদর্শন শেষে উপসচিব মো. আলী নেওয়াজ রাসেল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজের অগ্রগতি স্বচক্ষে দেখতে এসেছি। কাজের মান খুবই ভালো ও সন্তোষজনক হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারে যাতে উপকারভোগীরা উপকৃত হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরাও যেন সবসময় সম্পৃক্ত থাকেন।'

কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে কুলাউড়ায় প্রথম দফায় ১১০টি ভূমিহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। আশা করি আগামী জানুয়ারির মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এরপর উপকারভোগীদের কাছে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে।'

 

জেএইচ/আরআর-০৪