সিলেট মিরর ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
০৬:০১ অপরাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
০৬:০১ অপরাহ্ন
মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার পরিবারের সদস্যদের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ।
একইসঙ্গে পাপুলদের ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের করা আবেদনের শুনানি করে আদালত এই আদেশ দেয়।
এছাড়া পল্টন থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) করা অর্থপাচার মামলাতেও পাপলু, তার প্রতিষ্ঠানসহ আটজনের ৫৩টি হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন একই বিচারক।
মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে পাপুলকে গত ৭ জুন গ্রেপ্তার করে কুয়েতের পুলিশ।
তদন্তের পর সেখানকার একটি ব্যাংকে জমাকৃত পাপুল এবং তার কোম্পানির প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ফ্রিজ করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগামী ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের আদালতে পাপুলের মামলার রায় হওয়ার কথা রয়েছে।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ১১ নভেম্বর পাপুল এবং তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
তাতে অভিযোগ করা হয়, পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন দুই কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ কাগুজে প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৮ কোটি টাকা পাচার করেছেন।
এসব কাজে তাকে পাপুল এবং তার স্ত্রী ও মেয়ে সহযোগিতা করেছেন।
মামলায় জেসমিনের বিষয়ে আরও বলা হয়, বিভিন্ন ব্যাংকে তার প্রায় ৪৪টি হিসাব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকেই ৩৪টি এফডিআর হিসাব রয়েছে।
গত ২২ জুন বাংলাদেশ ব্যাংককে দুদকের দেওয়া চিঠিতে পাপুল, স্ত্রী সেলিনা, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব স্থগিত রাখতে অনুরোধ জানানো হয়।
বি এন-০৫