ভারতের চার রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে বার্ড ফ্লু

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ০৬, ২০২১
১২:৩৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ০৬, ২০২১
০২:২৬ পূর্বাহ্ন



ভারতের চার রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে বার্ড ফ্লু

ভারতের মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হিমাচল এবং কেরালা রাজ্যে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ কেরালার আলাপুঝা ও কোয়াট্টাম জেলায় একাধিক মৃত হাঁসের শরীরে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে।

কেরালার রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে কেরালার দুই জেলায় প্রথম হাঁসের মড়ক দেখা দেয়। সে সময় ৮টি মৃত হাঁসের নমুনা পরীক্ষার জন্য মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ৮টির মধ্যে ৫টিতে বার্ড ফ্লু ধরা পড়ে।

এর প্রেক্ষিতে আলপুঝা ও কোয়াট্টাম জেলার বিভিন্ন হাঁসের খামারে ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়েছে কেরলের রাজ্য প্রশাসন। অভিযানে ১২ হাজার হাঁস এখন পর্যন্ত মারা হয়েছে, রোগ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এই সংখ্যা ৩৬ হাজারে উন্নীত হতে পারে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কেরল সরকার জানিয়েছে, যে কৃষকদের খামারে অভিযান চালানো হয়েছে, তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

এদিকে পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণ দেখা দেয়ায় হিমাচল প্রদেশের পরিস্থিতিও ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৭০০ পরিযায়ী পাখির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই পাখিদের মৃত্যু যে বার্ড ফ্লু-তেই হয়েছে, তা নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। হিমাচল রাজ্য বন দফতরের সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান অর্চনা শর্মা জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশের বেরিলির ভারতীয় পশুপালন গবেষণা কেন্দ্রে ‍মৃত পরিযায়ী পাখির কয়েকটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছে পাখিগুলো। তারপরও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে ভোপালে প্রধান পরীক্ষা কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকেও।

হিমাচলের কাংড়া জেলায় সংক্রমণ এড়াতে ইতোমধ্যে মুরগি, মাছ, মুরগির ডিম বিক্রিতে নিধেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। জেলার ৪টি সাবডিভিশনে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বার্ড ফ্লু হলো পাখিদের একধরনের জ্বর৷ এইচ৫এন১ নামের একটি ভাইরাস এই জ্বরের জন্য দায়ী। ভাইরাসে আক্রান্ত হাঁস-মুরগি থেকে এই ভাইরাসটি মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে৷

এইচ৫তএন১ এর কয়েকটি ধরন ইতোমধ্যে দেখা গেছে। এগুলো হলো এইচ১এন১, এইচ২এন২, এইচ৩এন২ এবং এইচ৭এন৯। সর্বশেষ ধরনটি ধরা পড়ে ২০১৩ সালের মার্চে, চীনের পূর্ব জিয়াংশি প্রদেশে।

সাধারণত যাঁরা পোল্ট্রি খামারে কাজ করেন অথবা বাজারে হাঁস-মুরগি বিক্রি করেন, তাদের বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে৷

 

এএফ/১১