শপথ নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ২১, ২০২১
১২:০৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২১, ২০২১
১২:১৭ পূর্বাহ্ন



শপথ নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা

এই মাত্র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন কমালা হ্যারিস।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সোনিয়া সোটোমেয়র তাকে শপথ-বাক্য পাঠ করিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার রাত পৌনে ১১টার প্রথমে তিনি শপথ নেন। এর পরপরই আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। তার আগে আরো ৪৮ জন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাদের সবাই পুরুষ।

শপথ গ্রহণের মাধ্যমে প্রথম নারী, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয় হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসের প্রথম হিস্প্যানিক এবং তৃতীয় নারী বিচারপতির হাতে শপথ নিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নারী। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সোটোমায়ারকে দেশটির উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছিলেন; ২০০৯ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।

নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস আজ দুটি বাইবেল ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রধানের শপথ নিয়েছেন। এরমধ্যে একটি বাইবেল পেয়েছেন সাবেক প্রতিবেশি ও পারিবারিক বন্ধু রেজিনা শেল্টনের কাছ থেকে এবং অন্যটি প্রথম আফ্রো-আমেরিকান বিচারপতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্ব পালন করে আসা থার্গুড মার্শালের।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নারী তার বোন মায়াকে নিয়ে প্রায়ই স্কুল শেষে শেল্টনের বাড়িতে ঘুরতে যেতেন। কমলা হ্যারিসের বাড়ি থেকে মাত্র দুই দরজা পরই এক বাড়িতে বসবাস করতে শেল্টন। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরের শপথ নেয়ার সময় শেল্টনের দেয়া বাইবেল ব্যবহার করেছিলেন কমলা।  

শেল্টনকে দ্বিতীয় মা হিসেবে অভিহিত করা কমলা হ্যারিস তার নিজের জীবনে শেল্টনের ভূমিকার কথা স্বীকার করে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। ‌‘এই নারী ছাড়া আমি সিনেটর এবং আজ আমি যা— সেটি কখনও হতে পারতাম না’শিরোনামে লেখা ওই নিবন্ধে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘অফিসে এবং লড়াই-সংগ্রামে আমি শেল্টনকে সবসময় সঙ্গে রাখি।’

কমলা হ্যারিস প্রায়ই বলেন, আইনি কর্মজীবনে তার অন্যতম অনুপ্রেরণা ছিলেন থার্গুড মার্শাল। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের এই বিচারপতিকে ‌‘নিজের শৈশবের নায়ক’ বলে সম্বোধন করেন হ্যারিস।

গত জুলাইয়ে এক ভিডিও বার্তায় হ্যারিস বলেন, থার্গুড মার্শাল এবং তার কাজ... আমার আইনজীবী হতে চাওয়ার পেছনের প্রধান কারণ। থার্গুড একজন যোদ্ধা। আদালত কক্ষে তিনি ছিলেন একজন মুষ্টিযোদ্ধা।

এর আগে নির্বাচনে বিজয়ের পর কমালা হ্যারিস নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি হয়তো প্রথম নারী, তবে আমি শেষ নারী নই। যেসব ছোট্ট নারী শিশু এই অনুষ্ঠান দেখছে তারা দেখছে যে আমেরিকা হচ্ছে সম্ভাবনার এক দেশ। 

 

এএফ/০