জাফলং-বিছনাকান্দিতেও পাথর উত্তলনের সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক


জানুয়ারি ২৬, ২০২১
০২:৫০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৬, ২০২১
০২:৫৩ পূর্বাহ্ন



জাফলং-বিছনাকান্দিতেও পাথর উত্তলনের সুযোগ

ভোলাগঞ্জের পর এবার আরও দুটি পাথর কোয়ারি থেকে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সিলেটের বিছনাকান্দি ও জাফলংয়ের পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) বহির্ভূত এলাকা থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

জাফলং বল্লাঘাট পাথর উত্তোলন-সরবরাহকারী শ্রমিক বহুমুখী সমবায় সমিতি ও বিছনাকান্দির অপর আরেকটি সংগঠনের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাবিব-উন-নবী। ছয় মাসের জন্য দুই পাথর কোয়ারি খুলে দিতে আদালত আদেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। কোনো যন্ত্রের ব্যবহার ছাড়া এসব কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

এর আগে ১৭ জানুয়ারি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকেও পাথর উত্তোলনের রায় দেন একই বেঞ্চ। ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছানাকান্দি ও লোভাছড়ার পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) দায়ের করা একটি রিটের প্রেক্ষিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে সবধরনের যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন উচ্চ আদালত।

২০১৯ সালের শেষ দিকে সিলেটসহ সারাদেশে সনাতন প্রক্রিয়ায়ও পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়। এর বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে রিট করে সংগঠন দুটি।

এদিকে, সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। পরে আন্দোলনে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন পরিবহন ব্যবসায়ীরাও। কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের দাবিতে গত মাসে টানা ৩ দিন ধর্মঘটও করে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।

উপজেলা প্রশাসন জানায়, ২০১২ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় জাফলংকে ইসিএ ঘোষণার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জাফলংকে ইসিএ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি জাফলংকে ‘ভূতাত্ত্বিক ঐতিহ্য’ ঘোষণা করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে জাফলংয়ের ২২ দশমিক ৫৯ একর জায়গাকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়।

আরসি-০৯