নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২৭, ২০২১
০৩:২১ অপরাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ২৭, ২০২১
০৬:৩৪ অপরাহ্ন
সিলেটের মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় আজও সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। সাক্ষীরা না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন দিন ধার্ করেছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত তারিখে সকাল ১১ টায় সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হকের আদালতে মামলার ৮ আসামিকে হাজির করা হলেও আসেননি কোনো সাক্ষী। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখেও সাক্ষীরা হাজির হননি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পিপি রাশিদা সাঈদা খানম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, মামলার প্রথমে বাদীপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা। তবে দুই তারিখেই বাদীপক্ষ সাক্ষীদের হাজির করেনি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শহিদুজ্জামান চৌধুরী জানান, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি আদালতে এ দুটি মামলা একসাথে বিচার কাজ শুরু করার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু বিচারক আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর আমরা এই আবেদন নিয়ে উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হয়েছি। উচ্চ আদালতে বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আজ সাক্ষীদের হাজির করা হয়নি।
এ মামলায় মোট ৫১ জনকে স্বাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
এতে সাইফুর রহমানকে প্রধান করে ছয় জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণে জড়িত থাকা এবং অপর দুই জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ভেতরে একটি রাস্তায় স্বামীকে আটকে প্রাইভেটকারের ভেতর ওই গৃববধূকে (২৫) পালাক্রমে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনার রাতেই নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে এসএমপির শাহপরান থানায় ৬ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
এনএইচ/বিএ-০৯