সজীব দেবরায়, কমলগঞ্জ
জানুয়ারি ২৮, ২০২১
১১:৩৪ অপরাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ২৮, ২০২১
১১:৩৪ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রতি লিটার ১০০ টাকা থেকে ক্রমাম্বয়ে দাম বেড়ে খুচরা বাজারে ১৩৫ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। গতকাল বুধবার (২৭ জানুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন বাজারের মুদি দোকান ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে ভানুগাছ ও শমশেরনগর বাজার ঘুরে দেখা যায়, কিছুদিন আগেও সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা দরে। আর ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে পাম অয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। তবে তেল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতারা জানান, হাট-বাজারে টিসিবি’র পণ্য যথাযথভাবে না থাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া টিসিবি’র পণ্যও সঠিকভাবে ভোক্তারা পাচ্ছেন না। ফলে নিম্ন আয়ের লোকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
ঠেলাগাড়িচালক আব্দুল্লা মিয়া, কৃষক মানিক মিয়া ও গৃহিনী হাজেরা বেগম বলেন, দৈনিক যে আয় হয় তা দিয়ে ঠিকমতো সংসার চালানো দায়। এরপর ওষুধপত্র, কাপড়-চোপড়, সন্তানদের পড়াশোনা করানোর খরচটাও বহন করতে হয়। এতদিন পেঁয়াজ ও আলুর বেশি দাম থাকায় ভোগান্তি হয়েছে। সেগুলোর দাম কমতে না কমতে তেলের দাম বেড়ে গেছে। আসলে এই দামে তেল কেনা ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
কাইয়ুম উদ্দীন, স্বর্ণজ্যোতি পাল, সায়েদ মিয়া, কুদ্দুস মিয়া, সুমন দেসহ কয়েকজন মুদি ব্যবসায়ী বলেন, নতুন যেসব মালামাল শ্রীমঙ্গলের পাইকারি বাজার থেকে কিনে এনেছি সেখানে বোতলজাত সয়াবিনের দাম প্রতি লিটার ১২৯ টাকা। আর বোতলের গায়ে লেখা খুচরা বাজারে বিক্রির দর ১৩৫ টাকা। ফলে আমরা ১৩৫ টাকায় তেল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
এ ব্যাপারে শমশেরনগরের টিসিবি’র ডিলার মো. জয়নাল মিয়া বলেন, মাত্র ২শ লিটার সয়াবিন তেল আর ৩ হাজার কেজি পেঁয়াজ দেওয়া হয়। এতে দ্রুত সয়াবিন তেল শেষ হয়ে যায় এবং পেঁয়াজ রয়ে যায়। যে কারণে গত দুইমাস ধরে আমি টিসিবি’র কোনো মালামাল বিক্রি করছি না। আর বর্তমানে পেঁয়াজের দর নেমে যাওয়ায় এতে ক্রেতাদের চাহিদা নেই।
কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, যেহেতু এখন ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, তাই যাতে ভোজ্যতেল বেশি বরাদ্দ হয় সে বিষয়ে টিসিবি’র উর্ধ্বতন পর্যায়ে কথা বলব।
এসডি/আরআর-০১