বিয়ানীবাজারে দগ্ধ নারীর লাশ নিয়ে রহস্য

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি


জানুয়ারি ২৮, ২০২১
০৭:৩৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৮, ২০২১
০৭:৩৪ অপরাহ্ন



বিয়ানীবাজারে দগ্ধ নারীর লাশ নিয়ে রহস্য

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার অনেকটা নির্জন হাওরে অজ্ঞাত নারীর দগ্ধ লাশ পাওয়া নিয়ে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে। লাউতা ইউনিয়নের গজারাই এলাকার পশ্চিম হাওরে লাশটি কীভাবে এলো? নারীটি কে কিংবা এরকম নৃশংস ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত এ নিয়ে চলছে জল্পনা। এ ঘটনার সঙ্গে কোন অপরাধ কিংবা পারিবারিক কলহ জড়িত কি না সেটা জানা ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

গতকাল বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে স্থানীয়রা দগ্ধ লাশটি দেখতে পেয়ে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই উৎসুক শত শত জনতা ঘটনাস্থলে ভীড় করেন। লাশ ঘিরে কৌতুহলী মানুষের ভীড় থাকলেও এ নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। অজানা ভয় ও আতঙ্ক ছিল সবার মাঝে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লাশটি অজ্ঞাত একজন নারীর। মরদেহটির মুখ অক্ষত থাকলেও শরীরের ৭০ ভাগ অংশই দগ্ধ ছিল। মাথায় লম্বা চুল রয়েছে। অর্ধেক দগ্ধ পা দু'টো আকারে ছোট। অজ্ঞাত এই নারীকে অন্যত্র শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এই হাওরে এনে শুকনো খড়ে আগুন দিয়ে লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খুনিরা লাশের পরিচয় গোপন রাখতে হত্যার পর এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী। তবে কী অবস্থায় তাকে পোড়ানো হয়েছে সেটি ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন থেকে জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিয়ানীবাজার থানার পুলিশের পাশাপাশি এ ঘটনার তদন্তে রয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের একটি তদন্ত দল। গতকাল সন্ধ্যায় পিবিআই'র সেই তদন্ত দলটি ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, প্রাথমিকভাবে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা লাশটি অজ্ঞাত কোনো নারীর বলে পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত হলেও ওই নারীর বয়স কত, তিনি বিবাহিত না কি অবিবাহিত সেটি শনাক্ত করা যায়নি। মুখ ও পায়ের কিছু অংশ ছাড়া সমস্ত শরীর পুড়ে যাওয়ায় লাশের পরিচয় শনাক্তে করতে হবে ডিএনএ টেস্ট। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

এসএ/আরআর-০৩