সিলেটের উন্নয়ন দেখে মুগ্ধ দুই মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক


জানুয়ারি ৩০, ২০২১
০১:২৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ৩০, ২০২১
০১:২৩ পূর্বাহ্ন



সিলেটের উন্নয়ন দেখে মুগ্ধ দুই মন্ত্রী

সিলেটের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে সিলেট সিটি করপোরেশন আয়োজিত ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্ততৃা দেওয়ার সময় নিজেদের মুগ্ধতা প্রকাশ করেন তারা। 

নগরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সভার শুরুতে সিলেট নগরের উন্নয়ন নিয়ে তিনি নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।  

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট নগরের উন্নয়ন নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এমন কাজ যা জনগণের জন্য, যা বাংলাদেশের জন্য আমিও তার সহযাত্রী হতে চাই।’ এ সময় তিনি পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়নে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘মেয়র যে কাজ করছেন তাতে আমার পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে আমি তার উন্নয়ন কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশ এখন আর দরিদ্র নয়, আমাদের মাথাপিছু আয় এখন যে কোনো দেশের তুলনায় ঈর্ষণীয় গতিতে বাড়ছে। আমাদের জনসংখ্যা সম্পদে পরিণত হচ্ছে। দেশে শিল্পকারখানা বাড়ছে, বাড়ছে কর্মসংস্থান।’ 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সিলেট সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ছড়া ও খাল উদ্ধার করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সড়ক প্রশস্ত ও ড্রেনেজ নির্মাণ, নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও সৌন্দর্যবর্ধন, ফুটপাত হকারমুক্ত করাসহ সরকারপ্রদত্ত বরাদ্দ সঠিকভাবে ব্যয় করায় তিনি মেয়র আরিফুল হকের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে নিজেদের জমি দিয়ে সড়ক প্রশস্তকরণে সহযোগিতার জন্য নগরবাসীর প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সভার শুরুতে সিলেট নগরের লালাদিঘীরপার এলাকায় প্রায় ১৫ একর জায়গা নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ প্রকল্পের ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করেন স্থপতি ও নির্মাতা শাকুর মজিদ। ভিডিওচিত্রে প্রকল্পের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি। তিনি জানান, এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন, ৭ মার্চের ভাষণ, সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরা হবে বিভিন্ন স্থাপত্যের মাধ্যমে। যেখানে নগরবাসীর বিনোদন ও কেনাকাটার ব্যবস্থা থাকবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সিলেট জেলা বিভাগীয়  প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

সিলেটে দুইমন্ত্রীর ব্যস্ত দিনের কর্মসূচি: সকালে সিলেটে আসার পর দিনভর দুই মন্ত্রীকে নগরের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ ঘুরিয়ে দেখান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। দুপুরে দুই মন্ত্রী যান সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন কাজ পরিদর্শনে। সিলেট সিটি পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নগরের উপশহরস্থ হলদিছড়ার ড্রেন, রিটেইনিং ওয়াল, ওয়াকওয়েসহ সৌন্দর্যবর্ধন কাজ পরিদর্শন করেন। এরপর সিলেট সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মানিকপীর কবস্থানের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।

বিকেলে দুই মন্ত্রী সিলেট নগরীর দৃষ্টিনন্দন চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার চারলেন সড়ক ও জেলা পরিষদ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান সংস্কার ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।

বিকেল ৩ টায় সিলেটের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন দুই মন্ত্রী। রাতে সিলেট সিলেট চেম্বার আয়োজিত নারী উদ্যোক্তা সম্মেলনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

এসএইচ/বিএ-০৩