ওসমানীনগর প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
০২:০৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
০২:০৭ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ওসমানীনগরে শিশু ফাইজা 'হত্যা'য় জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শান্তি নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের তাজপুর বাজারে এই মানববন্ধনে শিশু ফাইজার মা, বাবা, স্বজনসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, তাজপুর খাসদরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ১০ বছরের ফাইজাকে ধর্ষণ করে হত্যার ৭ দিন অতিবাহিত হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এক বা একাধিক বিকৃত রুচির মানুষ ফাইজাকে পাশবিক নির্যাতন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করে অপরাধীদের রক্ষায় কাজ করছে।
তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফাইজা 'হত্যা'য় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা না হলে আগামী মঙ্গলবার আবারও প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
মানববন্ধনে ফাইজার মা লায়লা বেগম বলেন, 'আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঘাতকরা লাশ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে গা ঢাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এ সময় আমি বাড়িতে এসে পড়ায় ঘাতকরা দ্রুত লাশ নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই রাতে ওসমানীনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার ভাসুরদের তিন পুত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। গত মঙ্গলবার আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশ আমার অভিযোগটি আড়াল করে তাদের বিনা শর্তে ছেড়ে দিয়েছে।'
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অরুণোরুদয় পাল ঝলক, লন্ডন মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সল হোসেন সুমন, ইউপি সদস্য খালেদ আহমদ খুকু, নারী ইউপি সদস্য নেয়া বিবি, আওয়ামী লীগ নেতা খালিক মিয়া, আব্দুল কালাম, শিশু ফাইজার নানী করফুল বিবি, মামা মনছুর আলী, ফুপাতো ভাই আব্দুল বাছিদ, বকুল মিয়া, আনসার ভিডিপির তাজপুর ইউনিয়নের লিডার হেপি বেগম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রামে ফাইজার মা লায়লা বেগম তাকে ঘরে রেখে ছোট ছেলেকে নিয়ে বাজারে যান। এ সময় ফাইজার বাবা তুরণ মিয়া অন্যত্র কাজে ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে লায়লা বেগম বাড়িতে ফিরে বসতঘরের চালার সঙ্গে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে ফাইজাকে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইউডি/আরআর-০৮