নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
০৮:০১ অপরাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
০৮:০৫ অপরাহ্ন
সিলেট বিভাগে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু ঝুঁকি প্রতিরোধ বিষয়ক এক বিভাগীয় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রবিবার (৩১ জানুয়ারি) অনলাইন জুম মিটিং এ্যাপে গণসাক্ষরতা অভিযান ও আইডিয়া সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো: মশিউর রমান (এনডিসি) এবং অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগের ডিআইজি জনাব মফিজ উদ্দীন আহমদ, পিপিএম।
সভাপতি হিসেবে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন গণসাক্ষরতা অভিযান, ঢাকার নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী ।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিয়ার নির্বাহী পরিচালক নজমূল হক । এরপর পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু ঝুকি বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিআইপিআরবির উপ-নির্বাহী পরিচালক ড.আমিনুর রহমান ।
ড.আমিনুর রহমান তার উপস্থাপনায় বলেন, ‘উন্নত দেশে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু হার কমে গেলেও আমাদের দেশে তা এখনও উল্লেখযোগ্য হারে রয়ে গেছে। পানিতে ডুবে যাওয়া শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়েও আমাদের দেশে সচেতনতা ও কার্যকর ব্যবস্থা নেই। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে ২০ মিটার দুরে পুকুরে বা ডোবাতে পড়ে সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটার মধ্যই শিশুদের মৃত্যু ঘটে থাকে। গবেষনায় দেখা গেছে যে সমস্ত শিশুরা সাতার জানেনা তাদের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১০ বছরের নিচে শিশুরা পানিতে ডুবে মুত্যুর ঝুঁকিতে থাকে।
ডিআইজি জনাব মফিজ উদ্দীন আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘সমাজে অনেক ঘটনা ঘটে থাকে, যেমন খুন ডাকাতি এসব ঘটনা জনগনের দৃষ্টি আর্কষণ হয়। কিন্তু পানিতে ডুবে মৃত শিশুদের ঘটনা থানায় তথ্য দেওয়া হয়না। তাই এসব ঘটনার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়না।’
বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো. মশিউর রমান (এনডিসি) তার বক্তব্যে বলেন, ‘পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু ঝুঁকি কমানোর কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ বিষয়ে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় আলোচনা করা প্রয়োজন। ব্যক্তিগত ভাবে সকলকে পানিতে ডুবে মৃত্যর ঝুকি কমানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি আইডিয়া ও গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রতিনিধি কে অনুরোধ করেন পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু ঝুঁকি কমানোর কার্যকর ব্যবস্থা বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করলে তিনি ৪০টি উপজেলায় এ তথ্য পাঠিয়ে দেবেন। তিনি সকল কে অনুরোধ করেন পানিতে ডুবে কোন শিশুর মৃত্যুবরণ করলে পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য থানায় তালিকাভুক্ত করতে হবে।
মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনাকালে ব্রাক ইউনির্ভাসিটির প্রফেসর এমিরেটাস ও বাংলাদেশ ইসিডি নেটওর্য়াকের চেয়ারপার্সন ড.মনজুর আহমেদ বলেন, ‘এসডিজি অর্জনের জন্য পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ জরুরি। এর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং নজরদারি বাড়াতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাকে যুক্ত করতে হবে।’
সভায় আরো অতিথিদের মধ্যে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নাগরিকবৃন্দ পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি জেলা থেকে গ্রাম পর্যন্ত শিশুদের সাতার শেখার কার্যকর ব্যবস্থা থাকার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বি এন-০২