নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
নগরের লালবাজার এলাকার হোটেল মোহাম্মদীয়া আবাসিকের পিছন থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাছাদক এলাকার রেজাউল করিম হায়াত (৫০)। তিনি পেশায় একজন পল্লি চিকিৎসক বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় হোটেল মোহাম্মদীয়া আবাসিকের ম্যানেজারসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হোটেল মোহাম্মদীয়া আবাসিকের পেছনে রেজাউল করিম হায়াতের লাশ দেখতে পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এরপর ময়না তদন্তের জন্য লাশটি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের মর্গে লাশ পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত রেজাউল করিম হায়াত (৫০) সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাছাদক এলাকার উত্তর রাজনগর গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে। তার তিন স্ত্রী ও নয়জন সন্তান রয়েছেন। স্ত্রীদের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তিনি সিলেটে আসেন। সর্বশেষ গত শনিবার সন্ধ্যায় পরিবারের সঙ্গে নিহতের যোগাযোগ হয়। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
এদিকে, এ ঘটনায় হোটেল মোহাম্মদীয়ার ম্যানেজার আব্দুর রউফ চৌধুরী, সহকারী ম্যানেজার শামীম, হোটেল কর্মচারী দেলোয়ার, ও ফরিদকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রাত ৯ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের সিলেট মিররকে বলেন, ‘নিহতের পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসার পরই মামলা দায়ের করা হবে। তিনি কোন হোটেল ছিলেন এসব বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল তাদের এখানো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
এনএইচ/বিএ-১২