মিয়ানমারে ৭০ হাসপাতাল বন্ধ করে স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্দোলন

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
০১:৩৯ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
০১:৩৯ অপরাহ্ন



মিয়ানমারে ৭০ হাসপাতাল বন্ধ করে স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্দোলন

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দেশটির বেশ কয়েকটি বড় শহরের সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা বুধবার থেকে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয় মঙ্গলবার রাত থেকে দেশটির প্রায় ৭০টি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা সেবা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। 

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির মুক্তি দাবি করে তারা জানিয়েছেন, এই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাবেন তারা।

এই আন্দোলনের একজন সদস্য ড. হেইন উইন্ট ওয়ার বলেছেন, আমরা যখন দায়িত্ব পালন করি তখন আমরা আমাদের কিছু রোগীর জীবন বাঁচাতে পারি। যদি আমরা অভ্যুত্থান সম্পর্কে নীরব থাকি তবে সামরিক একনায়কতন্ত্রের অধীনে প্রতিদিন কয়েক শতাধিক লোকের জীবন নষ্ট হবে। 

মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি শহরের সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী জনগণের ইচ্ছাকে অবহেলা করে একটি নতুন সরকার গঠন করেছে।

বিবৃতিতে তারা বলেন, সেনাবাহিনী দ্বারা গঠিত অনির্বাচিত সরকারকে সেবা আমরা দিতে চায় না। এজন্য আমরা আন্দোলনে যাচ্ছি।

অভ্যুত্থানকালে আটক দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ট, স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি এবং অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের মুক্তির দাবি করেছেন তারা। গত বছরের নভেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জয়ীদের নিয়ে পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান করারও দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ডাকা এ আন্দোলনে সহযোগিতা করার জন্য সারাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এদিকে অং সান সু চির যে মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দিতেন সেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মীরাও ধর্মঘটে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

গত বছরের ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নিরঙ্কুশ জয় পায়। কিন্তু সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। 

সোমবার ভোরে এনএলডির নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট ও দলটির অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করা হয়। এরপর সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয় দেশটির সেনাবাহিনী। সেইসঙ্গে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। 

বিএ-০৫