সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
০৭:৫১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
০৭:৫১ পূর্বাহ্ন
‘ফিশারির নামে অবৈধ দখলে বিপন্ন হাইল হাওর। বাইক্কা বিল মাছের অভয়াশ্রম হলেও রাতব্যাপী মাছ ধরার অভিযোগ রয়েছে। সুস্বাদু মাছের জন্য প্রসিদ্ধ গোপলা নদী দখলদারদের কারণে প্রস্থ কমে এখন রুগ্ন খাল। গোপলা নদীর গভীরতম ডহর ‘কলকলি’ এখন বিলীন হয়ে মানুষের বাড়িঘর। বড় হাওরের মাছের বিলগুলো এখন চাষের জমি। কোথাও বাড়িঘর। হাইল হাওর-বাইক্কা বিল ও গোপলা নদীকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে হাইল হাওর এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করতে হবে। এখানকার বাস্তু ব্যবস্থা সংরক্ষণে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
গত মঙ্গলবার বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজার-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকেরা এসব কথা বলেন। শহরের চৌমোহনায় সন্ধ্যায় ‘হাইল হাওর-বাইক্কা বিল ও গোপলা নদী’র সংকট ও করণীয় শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাপা মৌলভীবাজার-এর আহ্বায়ক আ স ম সালেহ সোহেল। প্রারম্ভিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাপা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট বাপা-এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম। বক্তব্য দেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আকমল হোসেন নিপু, রাজনীতিবিদ অজয় সেন, বিটিভির জেলা প্রতিনিধি হাসানাত কামাল, যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আহমদ আফরোজ, সাংবাদিক আব্দুর রব রনজু, পরিবেশকর্মী ও সাংবাদিক রিপন দে, রাজনীতিবিদ হাসান আহমদ রাজা, ফটোগ্রাফার রণজিত জনি প্রমুখ।
বৈঠকে আলোচকরা বলেন, ১০০ হেক্টর জলাভূমির বাইক্কা বিলকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। কোনো কোনো মৌসুমে এই বিল ৩ হাজার হেক্টর থেকে ১২ হাজার হেক্টর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। বাইক্কা বিলে রয়েছে মূলত শাপলা ফুল এবং প্রায় পাঁচ থেকে আট বছর পূর্বে রোপণ করা জলজ গাছ। এই বিলে প্রায় ৯০ প্রজাতির মাছ বাস করে। তবে এখানে শীতকালে আগত অতিথি পাখিদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এ পর্যন্ত এই অভয়ারণ্যে প্রায় ১৪১ প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৯ প্রজাতির ফিশ ঈগল উইন্টার, প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফুল্ভাস হুইসটলিং হাঁসসহ শীতকালে আগত হাঁসদের বিশাল বহর। এছাড়া এখানে নিয়মিত গ্রেট স্পটেড ঈগলসহ বিভিন্ন ধরনের পাখির দেখা মেলে। এখানে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দেখা কম মিললেও মেছোবাঘের দেখা পাওয়া যায়। তবে রাতের আঁধারে বাইক্কা থেকে মা মাছ শিকার ও চোরা পাখি শিকারীর উপদ্রব বাইক্কার জন্য হুমকি।
বৈঠকে বক্তারা হাইল হাওর-বাইক্কাবিল ও গোপলা নদী খনন ও দখলমুক্ত করতে সামাজিক আন্দোলন, স্মারকলিপি প্রদান, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে চাপ প্রয়োগের ওপর মতামত দেন।
আরসি-০৫