‘অন-এরাইভ্যাল ভিসা দুই দেশের পর্যটন ও বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াবে'

নিজস্ব প্রতিবেদক


ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২১
০৭:২৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২১
০৭:২৪ পূর্বাহ্ন



‘অন-এরাইভ্যাল ভিসা দুই দেশের পর্যটন ও বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াবে'
মতবিনিময় সভায় নেপালের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বনশিধর মিশ্রার সঙ্গে সঙ্গে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দ ও সিলেটের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে অন-এরাইভ্যাল ভিসা সিস্টেম রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমরা দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘নেপালে ফলমূল এবং শাক-সবজির দাম বাংলাদেশ থেকে তুলনামূলক কম। বাংলাদেশি আমদানিরকারকরা নেপাল থেকে ফলমূল ও শাক-সবজি আমদানি করতে পারেন।’ তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের রেল যোগাযোগ স্থাপন করা গেলে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’

বনশিধর মিশ্রা জানান, শীঘ্রই বাংলাদেশ-নেপাল চেম্বার অব কমার্স গঠিত হতে যাচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশ ও নেপালের প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ীগণ অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। যার মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্য ও শিল্প উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নেপাল বাংলাদেশের প্রতিবেশি ও বন্ধু রাষ্ট্র। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জনতার দুর্বার প্রতিরোধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ নেপালের গণতন্ত্রকামী মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। তাই, একাত্তরের রাজতন্ত্র নেপাল ২০০৮ সালে প্রজাতন্ত্রে রূপলাভ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যবর্তী সর্বনিম্ন দূরত্ব মাত্র ৩৭ কিলোমিটার, কিন্তু নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আশানুরূপ নয়। এর পেছনে ট্যারিফ সংক্রান্ত কিছু জটিলতা রয়েছে। আমরা এই সমস্যাগুলো নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি।’ আগামী অক্টোবরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের একটি বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে পারে বলে জানান তিনি।

সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘সিলেটে অনেকগুলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ রয়েছে। যেগুলো থেকে নেপালের ছেলেমেয়েরা কমখরচে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।’

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজমান। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বর্তমান সরকার অত্যন্ত সহজ নীতি আরোপ করেছে।’

সভায় বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী দুর্গা মিশ্রা, নেপাল এম্বেসির সেকেন্ড সেক্রেটারি রঞ্জন যাদব, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন সাহা, সহ-সভাপতি তাহমিন আহমদ, সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক খন্দকার সিপার আহমদ, অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার এম. ইকবাল, অধ্যাপক মো. তানভির আহমেদ চৌধুরী, ড. এমএ রকিব, ড. মো. রুবেল আহমেদ, সিলেট চেম্বারের পরিচালক মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, মো. সাহিদুর রহমান, পিন্টু চক্রবর্তী, মুশফিক জায়গীরদার, আব্দুর রহমান, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, মো. আব্দুর রহমান জামিল, আলীমুল এহছান চৌধুরী, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, মো. আমিনুজ্জামান জোয়াহির, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, এফবিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক মো. হিজকিল গুলজার, সাবেক পরিচালক মুজিবুর রহমান মিন্টু, ইউকেবেট এর চেয়ারম্যান এম. এ. সায়েম, মুহিত চৌধুরী, সাংবাদিক শাহ্ দিদার আলম নোবেল, শিল্পোদ্যোক্তা মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম চৌধুরী, মো. আবুল কালাম, শফিউল আলম জুয়েল, মো. ফেরদৌস আলম, সামিয়া বেগম চৌধুরী, হেলেন আহমেদ, সুষমা সুলতানা রুহি, সানজিদা খানম প্রমুখ।

আরসি-০২