কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
০২:০৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
০২:০৩ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পিপিআর রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে বাচ্চাসহ ১৬৬টি ছাগল মারা গেছে। প্রথমে জ্বর, সর্দি ও সব শেষে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ছাগলগুলো মারা যায়। ছোঁয়াচে রোগ হলেও সঠিকভাবে মৃত পশুর সৎকার করা হচ্ছে না। ফলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়ছে।
জানা যায়, পিপআর রোগে আক্রান্ত হয়ে মাধবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের খামারি আতাউর রহমানের ৩৩টি, পারোয়াবিল গ্রামের কৃষক ছবুর মিয়ার ১৩টি, একই এলাকার গোপাল নুনিয়ার ৬টি, ইসমাইল মিয়ার ৬টি, ছয়সিড়ি গ্রামের আব্দুল আলিমের ২টি, আরেক চা শ্রমিকের ১১টি, কাটাবিল গ্রামের দুই কৃষকের ১৩টি, চা শ্রমিক অতুল নুনিয়ার ১০টি, রামচন্দ্র গড়ের ১০টি, সুমন দাসের ৫টি, শ্রীনাথ ভরের ৩টি, শ্রীনাথ দাসের ২টি, সঞ্জয় বীনের ১৩টি, গোপাল নুনিয়ার ৫টি, মাধবপুর চা বাগান ৮ নম্বর লাইনের শ্রমিক সঞ্জয় দাসের ১৯টি, মাধবপুর বাজারের ইকবার হোসেনের ২টি, রাম নারায়ণ যাদবের ২টি, কাটাবিল গ্রামের সুজিত কাহারের ৩টি, রাম দয়াল ভরের ৪টি, রুহিত লাল ভরের ২টি, বসন্ত কৈরীর ২টি ও শ্রীরাম ভরের ২টি ছাগল মারা গেছে। এছাড়াও পিপিআরে সংক্রমিত পার্শ্ববর্তী অন্যান্য গ্রামে আরও অর্ধশত ছাগল মারা গেছে। সবমিলিয়ে গত এক সপ্তাহে দুই শতাধিক ছাগল মারা গেছে। ফলে বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ছাগলের মালিক কৃষক ও চা শ্রমিকরা।
ক্ষতিগ্রস্ত চা শ্রমিক অতুল নুনিয়া জানান, প্রথমে তার ৫টি ভেড়া জ্বরে আক্রান্ত হয়। তারপর শুরু হয় সর্দি। সবশেষে আক্রান্ত পশুর পেট ফুলে ডায়রিয়া হয়ে একে একে ৫টি ভেড়া ও ৫টি ছাগল মারা গেছে।
একই অভিযোগ করেন চা শ্রমিক গোপাল নুনিয়া, ইসমাইল মিয়া ও কৃষক ছবুর মিয়া। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, এ রোগ সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাই নেই। স্থানীয় পশু চিকিৎসক রামভজন ভরকে এনে অসুস্থ ছাগলের চিকিৎসা করতে গিয়ে জানতে পেরেছেন এটি পিপিআর রোগ।
কমলগঞ্জ উপজেলার প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হিদায়াত উল্যাহ জানান, ছাগলের পিপিআর রোগ সারাবছর হয়ে থাকে। তাছাড়া ঠান্ডায় ছাগলের ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে ছাগল মারা যায়। এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ। আক্রান্ত ছাগলের পাশের ছাগলও দ্রুত আক্রান্ত হতে পারে। চিকিৎসায় রোগমুক্তি হয়। তবে মাধবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পিপিআর রোগের প্রকোপের বিষয়টি তিনি জানেন না। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রাণীসম্পদ বিভাগের একটি দল নিয়ে আক্রান্ত এলাকায় যাবেন বলে তিনি জানান।
আর কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক জানান, তিনি উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।
এসডি/আরআর-০৮