ভোটে সন্তুষ্ট ইসির নতুন সচিব

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
০৪:১৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
০৪:১৫ পূর্বাহ্ন



ভোটে সন্তুষ্ট ইসির নতুন সচিব

চতুর্থ ধাপের পৌরসভা ভোটে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত ও সাতটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হলেও নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

আজ রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে চতুর্থ ধাপের পৌর ভোটে সন্তুষ্টির কথা জানান চলতি মাসেই (ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের দায়িত্ব পাওয়া হুমায়ুন কবীর। দায়িত্বগ্রহণের পর এটিই তার প্রথম ভোট।

ইসি সচিব বলেন, ‘চতুর্থ ধাপে ৫৫টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে। এখন গণনা চলছে। পুরো দেশেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নরসিংদীর চারটি কেন্দ্রে কিছু অনিয়মের কারণে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ভোট বন্ধ করে দিয়েছেন। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে একটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শরীয়তপুরের ডামুড্যায় দুটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সাতটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হয়েছে। বাকি ৫০৩টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন ভোট গণনার কাজ চলছে।’

রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনকে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় যে প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং গণমাধ্যমে যা দেখেছে কমিশন, তাতে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, ভোট ভালো হয়েছে, যোগ করেন ইসি সচিব।

এক জায়গায় একজন খুন হয়েছেন এবং অনেক জায়গায় রক্তপাত হয়েছে। আপনারা তো প্রত্যাশা করেছিলেন এই ভোট ভালো হবে। সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে? জবাবে হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘ঠিকই বলেছেন। পটিয়াতে ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে এবং তাতে একজন লোক মারা গেছে। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য দুঃখজনক। এটি ঘটুক আমরা কেউ প্রত্যাশা করি না। প্রার্থীদের মধ্যে যে মারামারি হয়েছে ভোটকেন্দ্রের বাইরে, এটি ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ভোটগ্রহণে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলেনি। ভোটগ্রহণ হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। এই লোকটি মারা গেছে ভোটকেন্দ্র থেকে বাইরের মারামারিতে।’

যে এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় একজন মারা গেল। সেই এলাকার ভোটে কীভাবে প্রভাব পড়েনি? উত্তরে ইসি সচিব বলেন, ‘এটি হলো প্রার্থীদের মধ্যে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। হঠাৎ করে হয়ে গেছে, একজন লোক মারা গেছে। কিন্তু যারা ভোট দেওয়ার, তারা তো ভোটকেন্দ্রে যাবে। যে জায়গায় মারামারি হয়েছে, সেই জায়গায় ভোটাররা তো যাবে না।’

ভোটারদের যদি এই খুন প্রভাবিত করে, সেই দায় কার? এর জবাবে সচিব বলেন, ‘যে খুনটি হয়েছে, যে দুই প্রার্থী মারামারি করেছে, এই দায়টি তাদের। কারণ তারা নিজেরা মারামারি করেছেন, খুন হয়েছেন। কিন্তু ভোটাররা যারা কেন্দ্রে এসেছেন, ল’ এনফোর্সিং এজেন্সি যারা ছিলেন, আমাদের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা যারা ছিলেন, তারা প্রত্যেকে রিপোর্ট দিয়েছেন যে, ভোট নেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল, সুষ্ঠু ছিল।’

সেখানে দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব কী ছিল? তারা কী সঠিক দায়িত্ব পালন করেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা যে রিপোর্ট দিয়েছেন, এতে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন।’

নির্বাচন কমিশন দায় এড়াতে পারে কি-না জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল একটি প্রাণও যেন ঝরে না পড়ে। প্রার্থীরা এত বেশি ইমোশনাল হয়ে যায়। ওই কেন্দ্রে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিল। কেন্দ্রের বাইরে দুই প্রার্থীর মধ্যে। ঘরে ঘরেও তো তর্ক হতে পারে। তারা বাইরে গিয়ে ঝগড়া করেছে, সেখানে নিহত হয়েছে। এখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওই জায়গায় গিয়ে ইন্টারভেন্ট করার সুযোগ ওই মুহূর্তে ছিল না। এটি আমাদের কাছে মনে হয়েছে।’

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পৌর নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

 

এএফ/০৬