সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
০৯:১০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
০৯:১০ পূর্বাহ্ন
দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত গুচ্ছসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ধাপে ধাপে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
বুধবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ভর্তি পরীক্ষায় সময় নির্ধারণ করা হয়নি। পরে তারা তারিখ ঘোষণা করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
উপাচার্যগণের সভা শেষে জানা গেছে, দেশে প্রথমবারের মতো ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে আগামী জুনের শেষের দুই শনিবার ও জুলাইয়ের প্রথম দুই শনিবার ধাপে ধাপে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। গুচ্ছতে ৭টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৯ মে ভর্তি পরীক্ষা হবে।
অন্যদিকে আগামী ১০ জুন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। ১২ জুন রুয়েট, চুয়েট ও কুয়েটে গুচ্ছতে ভর্তি পরীক্ষা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১, ২২, ২৭ ও ২৮ জুন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ জুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ জুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে ৪ ও ৫ জুন পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
তবে রাজশাহী, চবি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়নি। পরে তারা জানিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, সভায় প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। পরিষদের সভায় সকল উপাচার্যদের উপস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় সে জন্য একটির সঙ্গে অপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সময় আলাদা করা হয়েছে। আজকে শুধু দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ অনুযায়ী কীভাবে পরীক্ষা নেবে সেটি নির্ধারণ করবে। এরপর পরিষদের আরেকটি সভায় তা চূড়ান্ত করা হবে।
জানা গেছে, গুচ্ছতে যাওয়া সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। এর বাইরে অন্য কোথাও পরীক্ষার কেন্দ্র করতে চায় না বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার গুচ্ছভুক্ত সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর বাইরে পরীক্ষার কেন্দ্র করা হবে না। কেননা অন্য কোথাও কেন্দ্র করলে সেখানে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে যাবে।