প্রথম ডোজেই ৮৫ শতাংশ কার্যকর ফাইজারের টিকা

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
০১:৪৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
০১:৪৩ পূর্বাহ্ন



প্রথম ডোজেই ৮৫ শতাংশ কার্যকর ফাইজারের টিকা

ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকার প্রথম ডোজেই মানবদেহে শক্তিশালী করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম বলে প্রমাণিত হয়েছে। একইসঙ্গে এই টিকা সংরক্ষণে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা তাপমাত্রার প্রয়োজন নেই। সাধারণ রেফ্রিজারেটরেই এটি সংরক্ষণ করা সম্ভব।

ইসরায়েলের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান শেবা মেডিকেল সেন্টার এবং এই টিকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি ফাইজার ও জার্মানিভিত্তিক কোম্পানি বায়োএনটেকের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে।

শেবা মেডিকেল সেন্টারের গবেষণায় দেখা গেছে, দু’ডোজ বিশিষ্ট ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার প্রথম ডোজ মানবদেহে প্রবেশের পর ১৫ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে ৮৫ শতাংশ করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম। বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশও করা হয়েছে। ফাইজার-বায়োএনটেক অবশ্য নির্দেশনা দিয়েছে, টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২১ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।

শেবা মেডিকেল সেন্টারের ট্রাভেল মেডিসিন অ্যান্ড ট্রাপিক্যাল ডিজিজ বিভাগের পরিচালক এবং ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাবিষয়ক গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ইয়েল লেশেম বলেন, ‘ ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগপর্যন্ত সময়ে মানবদেহে কী পরিমাণ করোনা প্রতিরোধী শক্তি গড়ে উঠতে পারে; সে বিষয়ে এই প্রথমবারের মতো বিস্তারিত গবেষণা হলো।’

এর আগে ফাইজার ও বায়োএনটেকের গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে বলা হয়েছিল- টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর তা মানবদেহে ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ প্রতিরোধী শক্তি গড়ে উঠতে পারে এবং দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর তা ৯৫ শতাংশে উন্নীত হয়। তবে প্রথম ডোজ নেওয়ার কত দিন পর ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ প্রতিরোধী শক্তি গড়ে ওঠে সেটা তখন উল্লেখ করা হয়নি।

টিকা বাজারে আসার পর ফাইজার এবং বায়োএনটেক এর আগে জানিয়েছিল যে, এই টিকা মাইনাস ৮০ থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় এবং এর জন্য প্রয়োজন বিশেষ রেফ্রিজারেটর; কিন্তু সম্প্রতি কোম্পনি দু’টি বলছে— টিকার কিছু উন্নয়ন করা হয়েছে, যার ফলে এখন থেকে মাইনাস ২৫-মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা মাইনাস ১৩ থেকে ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সাধারণ রেফ্রিজারেটরেই তা সংরক্ষণ করা সম্ভব।

টিকার উন্নয়নের কারণ হিসেবে বায়োএনটেকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা উগুর শাহিন বলেন, সংরক্ষণবিষয়ক জটিলতার কারণে দরিদ্র দেশগুলোতে ফাইজারের টিকা পৌঁছাতে পারছিল না। এই সমস্যা দূর করার জন্যই টিকার উন্নয়ন করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে টিকার উন্নয়নবিষয়ক যাবতীয় তথ্য জানিয়ে ইতোমধ্যে অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন শাহিন।

আরসি-০২