টানা ছুটিতে লোকারণ্য ছিল লাউয়াছড়া

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি


ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
০৬:১৬ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
০৬:১৬ অপরাহ্ন



টানা ছুটিতে লোকারণ্য ছিল লাউয়াছড়া

টানা তিনদিনের ছুটি পেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের পদভারে মুখর ছিল মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অবস্থিত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। ছুটির সময়টা আনন্দ-বিনোদনে কাটাতে ৬ হাজার ২০৯ জন পর্যটকের আগমন ঘটে এই সময়ে। এদিকে টানা তিনদিনের ছুটির প্রভাব পড়েছিল ট্রেন ও বাসের টিকিট ও হোটেল-রিসোর্টে।

রবিবার মহান ভাষা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটির সঙ্গে এর আগের দুইদিন শুক্র ও শনিবারের ছুটি মিলিয়ে মোট তিনদিনের সরকারি ছুটি ছিল এবার। এ ছুটি কাটাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন সপরিবারে ও বন্ধু-বান্ধব মিলে বেড়াতে আসেন কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক ও চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলের কয়েকটি পর্যটন এলাকায়। এর মাঝে বড় একটি অংশ আসেন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও মাধবপুর লেকে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার এ উদ্যানে আসেন ১ হাজার ৭০০ জন পর্যটক। তাদের প্রবেশমূল্য ও গাড়ি পার্কিং থেকে রাজস্ব আয় হয় ৭৮ হাজার ৮০০ টাকা। পরদিন শনিবার পর্যটক আসেন ২ হাজার ৬ জন। তাদের প্রবেশমূল্য ও গাড়ি পার্কিং থেকে রাজস্ব আয় আসে ৯৪ হাজার ৬০০ টাকা। এরপর রবিবার পর্যটক আসেন ২ হাজার ৫০৩ জন। তাদের প্রবেশমূল্য ও গাড়ি পার্কিং থেকে রাজস্ব আয় আসে ১ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ টাকা। সব মিলিয়ে তিনদিনে রাজস্ব আয় এসেছে ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

এদিকে টানা তিনদিনের ছুটি পেয়ে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলের পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের চাপ বেড়ে গেলে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলের হোটেল, গেস্ট হাউজ ও রিসোর্টের ওপর প্রভাব পড়েছিল। কোনো হোটেল, গেস্ট হাউজ ও রিসোর্ট খালি ছিল না এই তিনদিন।

শ্রীমঙ্গল সদরের গ্রীন ভিউ গেস্ট হাউজের স্বত্বাধিকারী এস কে সুমন জানান, ওই তিনদিন তাদের কোনো কক্ষ খালি ছিল না। কক্ষের চাহিদা থাকলেও তারা চাহিদা পূরণ করতে পারেননি।

কমলগঞ্জের শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সেলিম হোসেন জানান, টানা ছুটি পেয়ে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। পর্যটকদের ট্রেনের টিকিটের চাহিদা থাকলেও কোনো আন্তঃনগর ট্রেনে আসন খালি না থাকায় অনেক পর্যটককে টিকিট দিতে পারেননি তারা। ফলে এ চাপটি গিয়ে পড়ে আন্তঃজেলা বাসের ওপর।

 

এসএইচ/আরআর-০১