সিলেট মিরর ডেস্ক
মার্চ ০১, ২০২১
০৬:৩৩ অপরাহ্ন
আপডেট : মার্চ ০১, ২০২১
০৬:৩৩ অপরাহ্ন
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের পতন দাবিতে রবিবার চলমান বিক্ষোভে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত হওয়ার পরও সোমবার সড়কে নেমেছেন মানুষ। জান্তা শাসনের বিরুদ্ধে আরও বড় বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছে মিয়ানমারবাসী।
এদিন পুলিশের ছোড়া গুলি, কাঁদানে গ্যাস, স্টান গ্রেনেড ও রাবার বুলেটে আহত হন অনেকে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয় বিক্ষোভকারীদের দাবি, নিহতের সংখ্যা আরও বেশি।
হতাহতের ঘটনার পর সেনাবিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে মিয়ানমার। ফলে ব্যাপক মাত্রায় দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে জান্তা সরকার।
দাঙ্গা পুলিশের পাশাপাশি রোববার থেকে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। সশস্ত্র সেনা-পুলিশ ইয়াঙ্গুন, মান্দালয়, দাউই, মায়িক, বাগো, পোকোক্কুসহ বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদকারীদের ওপর সরাসরি গুলি চালিয়েছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয়ের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে গুলি চালানো হয়েছে। নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৮ জন। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অব্যাহত সহিংসতার নিন্দা করছি এবং সেনাবাহিনীকে দ্রুত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। অহিংস বিক্ষোভে এ ধরনের শক্তি প্রয়োগ অগ্রহণযোগ্য।
গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিসহ শীর্ষ রাজনীতিকদের আটক ও গৃহবন্দি করে। এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেন সেনাপ্রধান মিন অং লাইং। তবে তার এ প্রতিশ্রুতি প্রত্যাখ্যান করে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, সু চিসহ গণতান্ত্রিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে দেশটিতে। এ পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ দমনে ক্রমেই চড়াও হচ্ছে জান্তা সরকার। এ পর্যন্ত সহস্রাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিক্ষোভ বিষয়ে জেনারেল মিন অং হদ্মাইং বলেছেন, প্রতিবাদ মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ গণতান্ত্রিক পথ অনুসরণ করছে এবং পুলিশ রাবার বুলেট ব্যবহারের মতো ন্যূনতম শক্তি প্রয়োগ করছে।
তবে বিক্ষোভে গুলিতে নিহতের সংখ্যা তার এ বক্তব্যের উল্টো চিত্রই সামনে আনছে। ক্রমেই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা।
বিএ-০৭