ব্যাংকার মওদুদ হত্যা: অটোরিকশা চালক হাসনুরের দায় স্বীকার

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ০৫, ২০২১
০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০৫, ২০২১
০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন



ব্যাংকার মওদুদ হত্যা: অটোরিকশা চালক হাসনুরের দায় স্বীকার

সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় ব্যাংকার মওদুদ আহমদ হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি অটোরিকশা চালক নোমান হাসনুর। তার এক ঘুষিতেই মওদুদ মারা যান বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিকালে সিলেটের মহানগর হাকিম আদালত-১ এর বিচারক সাইফুর রহমান জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তিনি জানান, ‘ভাড়া নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে ব্যাংকার মওদুদ আহমেদকে জোরে ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অবস্থা দেখে ভয়ে পালিয়ে যান তিনি। পরবর্তী সময়ে খবর পান মওদুদ মারা গেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, জবানবন্দি রেকর্ডের পর আসামি নোমান হাসনুরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

ব্যাংকার মওদুদ আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি নোমান হাসনুর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেদিন পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালে প্রথমে ১৬১ ধারায় হত্যার স্বীকারোক্তি দেন নোমান হাসনুর। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করলে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ১৬৪ ধারায়।

প্রসঙ্গত, জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নগরের বন্দরবাজার আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ (৩৫)। সেখানে চালক নোমান হাছনুরের (২৮) সঙ্গে ভাড়া নিয়ে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাছনুরসহ আরও কয়েকজন অটোরিকশা চালক মিলে মওদুদকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনায় নিহত মওদুদের বড়ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালীে মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে আন্দোলনে নামেন ব্যাংকাররা। 

মওদুদ আহমেদ অগ্রণী ব্যাংক জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাস ফিল্ড শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

 

এএফ/০২