বড়লেখা প্রতিনিধি
মার্চ ২৬, ২০২১
০১:৫১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ২৬, ২০২১
০১:৫১ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তিনদিনের বইমেলা শুরু হয়েছে। বড়লেখা নজরুল একাডেমি তৃতীয়বারের মতো বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ মেলার আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি বইমেলার উদ্বোধন করেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, 'বই মানুষের জ্ঞানের দরজা খুলে দেয়। বইয়ের মাধ্যমে ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য সম্পর্কে জানা যায়। এখন অনেকেই ফেসবুকে সময় ব্যয় করছেন। সেখান থেকে জানার কিছু নেই। জ্ঞান আহরণের জন্য, কিছু শেখার জন্য সবাইকে বই পড়তে হবে।'
নজরুল একাডেমির উপদেষ্টা তাজ উদ্দিন ও শিক্ষক নাজিম উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন, বড়লেখা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান, বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত লায়লা নীরা, বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সিরাজ উদ্দিন, নজরুল একাডেমির সভাপতি দীপক রঞ্জন নন্দী, নারীশিক্ষা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ কে এম হেলাল উদ্দিন, বড়লেখা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ উদ্দিন, জুড়ী সাগরনাল-ফুলতলা শাহ নিমাত্রা কলেজের অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অরুন চন্দ্র দাস, বড়লেখা প্রেসক্লাবের সভাপতি অসিত রঞ্জন দাস ও সাধারণ সম্পাদক গোপাল দত্ত, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি লুৎফুর রহমান, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, বইমেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক জুনেদ রায়হান রিপন প্রমুখ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত অতিথিরা স্থানীয় লেখক অরুন চন্দ্র দাসের 'গল্প মঞ্জরী', মৃণাল কান্তি দাসের 'মেসেঞ্জারের মহাকাব্য', ফারজানা ইসলাম লিনুর 'অমরত্বের প্রত্যাশা নেই', মুহম্মদ আমান উল্লাহর 'ফেরিওয়ালা', অপু দাসের 'জীবন কাব্য', প্রদীপ চক্রবর্তীর 'আনন্দপুরে ভূতের কাণ্ড এবং এম আশরাফুর রহমানের 'আলোর পথে ফেরা' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
এদিকে মেলা মঞ্চে ধারাবাহিকভাবে গান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলায় প্রথমা, মাছরাঙ্গা ও জসীম বুক হাউস স্টল দিয়েছে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার পাঠক তাদের পছন্দের বই কিনছেন। মেলায় বইয়ের স্টল ছাড়াও পিঠার স্টল এবং সৌখিন পোষা পাখির স্টল দেওয়া হয়েছে। মেলা আগামী শনিবার (২৭ মার্চ) পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বইমেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জুনেদ রায়হান রিপন বলেন, 'প্রযুক্তির বহুল ব্যবহার, বিশেষ করে ফেসবুক ইত্যাদির কারণে আমরা সবাই বেশি সময় নষ্ট করছি। এ থেকে তেমন কিছু শেখার নেই। একসময় আমরা লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে পড়েছি। এখন শিশু-কিশোর, এমনকি তরুণদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা একেবারে প্রান্তে এসে ঠেকেছে। এই বাস্তবতা বিবেচনা করে আমরা বড়লেখার মতো একটি প্রান্তিক শহরে বইমেলার আয়োজন করেছি, যাতে সহজে ভালো ও উন্নতমানের বই স্থানীয় পাঠকের কাছে পৌঁছানো যায়। আমরা মানুষকে বইমুখী করতে চাইছি। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আমাদের সহযোগিতা করছেন।'
এজে/আরআর-০৯