বড়লেখায় শিকারিদের বিষটোপে মরল ৩০০ হাঁস

বড়লেখা প্রতিনিধি


এপ্রিল ০১, ২০২১
১২:২৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০১, ২০২১
১২:২৫ পূর্বাহ্ন



বড়লেখায় শিকারিদের বিষটোপে মরল ৩০০ হাঁস

দেশের সর্ববৃহৎ হাওর হাকালুকিতে বিষটোপে অতিথি পাখি নিধনকারীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। এসব অসাধু শিকারিদের ছিটানো বিষে শুধু পাখিই মরছে না, হাঁস মরে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারী খামারিরা। শিকারি সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় গত দুইমাসে বিভিন্ন খামারির ৫ সহস্রাধিক হাঁসের মৃত্যু ঘটেছে।

সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিকেলে হাকালুকি হাওরের বড়লেখা অংশের ভটরকিত্তা নামক স্থানে দুই অসাধু পাখিশিকারির বিষটোপে জাহাঙ্গীর আলম নামক এক ক্ষুদ্র খামারির ৩০০টি হাঁস মারা গেছে। এ ব্যাপারে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জীবিকা নির্বাহ ও পরিবারের সচ্ছলতার জন্য হাওরপাড়ের অনেকে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক কিংবা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে হাঁসের খামার গড়ে তোলেন। তারা সকালে হাওরের বিভিন্ন বিলে হাঁস বিচরণ করাতে নিয়ে যান এবং সন্ধ্যায় নিয়ে আসেন। কিন্তু অসাধু পাখিশিকারিরা অতিথি পাখি ধরতে ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে বিভিন্ন ক্ষেতে ছিটিয়ে রাখে। তাদের বিষটোপে শুধু পাখিই মারা পড়ছে না, ক্ষুদ্র ও মাঝারী হাঁস খামারিদের হাঁসের পালও মারা গিয়ে তারা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়লেখা উপজেলার পশ্চিম গগড়া গ্রামের অসাধু পাখিশিকারি আবুল হোসেন ও আলী হোসেনের বিষটোপে একই গ্রামের ক্ষুদ্র হাঁস খামারি জাহাঙ্গীর আলমের ৩০০টি হাঁস মারা গেছে।

দরিদ্র হাঁস খামারি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে হাঁস পালন শুরু করি। হাঁসের বিচরণস্থলে অতিথি পাখি শিকারের জন্য গ্রামের আবুল হোসেন ও আলী হোসেন ধানের বিষটোপ দিয়ে থাকে। প্রায়ই তাদেরকে বাধা দিতাম, মুরব্বিদের নিকট বিচারপ্রার্থী হতাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার তারা বেশি করে বিষ মিশানো ধান ছিটিয়ে রাখে। তাদের বিষ মেশানো ধান খেয়ে ৩০০টি হাঁস মরে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন আমার পথে বসার উপক্রম।'

আজ বুধবার (৩১ মার্চ) তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বুধবার জানান, তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

 

এজে/আরআর-১২