মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
এপ্রিল ০৫, ২০২১
১১:১৮ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৫, ২০২১
১১:১৮ অপরাহ্ন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউনের প্রথমদিনে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও রিকশা এবং টমটমের দখলে ছিল মৌলভীবাজার শহর।
সরেজমিনে শহর ঘুরে দেখা যায়, সকালের পর থেকে মানুষ ধীরে ধীরে রাস্তায় বের হয়েছেন। চলেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ প্রাইভেট গাড়িগুলো। বিশেষ করে শহরে রিকশার সংখ্যা ছিল বেশি।
মৌলভীবাজারের চৌমোহনা এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক রবিউলের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'আমাদের কিছু করার নেই। পেটের দায়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। রিকশার ভাড়া বাবদ মালিককে তো ২০০ টাকা দিতে হবে প্রতিদিন।'
টমটমচালক মো. হাসেম মিয়া বলেন, 'এইমাত্র বের হলাম গাড়ি নিয়ে। ১০০ টাকা রোজগার করেছি। সন্ধ্যা হলে বাড়িতে তো খাবার নিয়ে যেতে হবে। গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিলে তো সংসার চলবে না। না খেয়ে থাকতে হবে।'
শিক্ষার্থী কামরান আহমদ বলেন, 'শহরে এসেছি কলেজের জরুরি একটা কাগজ নিয়ে। এসে দেখি কম্পিউটারের কোনো দোকান খোলা নেই। অথচ রিকশা আর মানুষে ভরপুর পুরো শহর।'
দেখা গেছে, শহরের কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান আর খাবারের হোটেল ছাড়া প্রায় সব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ। রেস্টুরেন্ট খোলা থাকলেও ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু পার্সেল বাসায় নিয়ে যেতে পারছেন সবাই।
জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার (৪ এপ্রিল) মৌলভীবাজারে ৬২টি নমুনা পরীক্ষায় ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
মৌলভীবাজারে করোনায় আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল। গত ১ বছরে জেলার ২ হাজার ৭৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২৪ জন। মৌলভীবাজারে মোট আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯২৪ জন।
এসএইচ/আরআর-০৩