কমলগঞ্জে উপেক্ষিত লকডাউন

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


এপ্রিল ০৬, ২০২১
০২:৪১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৬, ২০২১
০২:৪১ পূর্বাহ্ন



কমলগঞ্জে উপেক্ষিত লকডাউন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় লকডাউন মানতে অনীহা দেখা গেছে ব্যবসায়ী ও নিম্নআয়ের লোকজনের মাঝে। লকডাউনকে উপেক্ষা করে সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই দোকানের ২/১টি শাটার খুলে দোকানে অবস্থান করেছেন ব্যবসায়ীরা। উপজেলার শমশেরনগর, ভানুগাছ বাজার, মুন্সীবাজারসহ কয়েকটি বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন, স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের ১৮ দফা মানতে সচেতনতামূলক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলার শমশেরনগর, ভানুগাছ বাজার ও মুন্সীবাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা সকাল থেকেই শপিংমল, হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ স্ব স্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দু'টি বা একটি শাটার খুলে বসে আছেন। ক্রেতারাও মালামাল এবং খাদ্যপণ্য কিনতে দোকানে দোকানে যাতায়াত করছেন। অনেকের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। শমশেরনগর বাজারের হোটেল-রেস্টুরেন্টে খাবারের জন্য মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। যেখানে দু’জন বসার কথা, সেখানে তিনজন বসে খাবার খাচ্ছেন। বাস ব্যতিত অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে হাট-বাজারে অন্যদিনের তুলনায় মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল।

এদিকে, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি ও নিষেধাজ্ঞা আরোপে সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করেছে। সকালে ভানুগাছ বাজারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক ও দুপুরে শমশেরনগর বাজারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সচেতনতামূলক নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, 'আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন প্রতিপালনের জন্য আমরা মাঠে আছি এবং ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণের মাঝে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।'

 

এসডি/আরআর-১১