মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মে ১১, ২০২১
০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ১১, ২০২১
০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
তারাবির নামাজ আদায় করে সবাই একত্র হন। ভাগ করে দেওয়া হয় নিজ নিজ দায়িত্ব। কেউ হাতে করে, কেউ মোটরসাইকেলে করে, আবার কেউ পায়ে হেঁটে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যান অসহায়, হতদরিদ্রদের বাড়িতে। এভাবেই জাগরণ সমাজ কল্যান সংস্থার সদস্যরা রমজানের শুরু থেকেই নির্বিঘ্নে কাজ করে যাচ্ছেন। রাতের আঁধারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কারণ হলো, যাদেরকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে তারা যাতে লোকলজ্জায় অস্বস্তিবোধ না করে কিংবা পাশের বাড়ির কেউ যাতে টের না পায় যে ওই বাড়িতে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার অন্যতম সামাজিক সংগঠন জাগরণ সমাজ কল্যাণ সংস্থা। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১২ সালে। এরপর থেকে সংস্থাটির সবাই মিলে ও এলাকার যুবকদের একত্র করে ব্যতিক্রমী বিভিন্ন আয়োজন করে যাচ্ছেন।
সংগঠন সূত্রে জানা যায়, রমজান শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন দুই-চারটি বাড়ি করে এ পর্যন্ত ৬৫ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। রমজানের শেষ দশক থেকে ঈদসামগ্রীও বিতরণ করছেন তারা। এর মধ্যে গোয়ালবাড়ী ও পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এতে করে তারা অনেক সাড়া পাচ্ছেন। জানাজানির কারণে দেশ এবং বিদেশ থেকে অনেকেই তাদের সহযোগিতা করছেন।
জাগরণ সমাজ কল্যাণ সংস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন মহৎ কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দেওয়া, কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মাননা দেওয়া, প্রতিবছর রমজান মাসে ইফতারসামগ্রী বিতরণ, দুই ঈদ উপহারসামগ্রী ছিন্নমূল মানুষের মাঝে বিতরণ, রাস্তাঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পরিষ্কার করা ইত্যাদি। অসচেতন মানুষকে সচেতন থাকার জন্যও পরামর্শ দিয়ে থাকেন তারা।
সংগঠনটির সভাপতি হুমায়ূন রশীদ রাজি বলেন, আমরা যে উদ্দেশে এই সংস্থার যাত্রা শুরু করেছি, সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের প্রতিটি কাজ সফল করার জন্য দেশে এবং প্রবাস থেকে এলাকার ব্যক্তিবর্গ আমাদেরকে সহযোগিতা করেন। এজন্য আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা করি ভালো কাজের জন্য আগামীতে আমাদেরকে অতীতের চেয়ে আরও বেশি সহযোগিতা করবেন। আমরা সবার কাছে দোয়া ও সার্বিকভাবে সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, এই সমাজে কত মানুষ যে অবহেলিত, বঞ্চিত! তাদের কাছে যাওয়া ছাড়া এটা বোঝা মুশকিল। তাই সবাইকে মানবতার তরে কাজ করার আহ্বান জানাই।
এসএইচ/আরআর-০৭