জুড়ী-ফুলতলা সড়কের কাজ শুরু

জুড়ী প্রতিনিধি


মে ২৩, ২০২১
০৩:৫১ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২৩, ২০২১
০৩:৫৩ অপরাহ্ন



জুড়ী-ফুলতলা সড়কের কাজ শুরু

মৌলভীবাজারের জুড়ী-ফুলতলা-বটুলি সড়কের কাজের মানের ব্যাপারে কাউকে কোনোরূপ ছাড় দেয়া হবে না। এই সড়কের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমি ইতোমধ্যেই অবহিত হয়েছি। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি এই সব কথা বলেন।

রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী থাকায় জনসাধারণের কষ্ট হচ্ছে। ইতোমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তাকে যথাযথ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে রাস্তাটি জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করে শেষ করতে হবে এবং কাজের গুণগতমান অবশ্যই ঠিক রাখতে হবে।

জুড়ী-ফুলতলা-বটুলি সড়কের কাজের মান ও সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (২১ মে) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এসব নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

পরিবেশমন্ত্রীর নির্দেশনার পর শনিবার (২২ মে) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করা হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের কাজ না হওয়া অংশে শ্রমিকরা কাজ করছেন। পুরোদমে কাজ শুরু হওয়ায় এলাকার জনসাধারণ সন্তুষ্টি প্রকাশের সাথে সাথে পরিবেশমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

জুড়ী-ফুলতলা-বটুলী সড়কের মজবুতকরণ ও বর্ধিতকরণ কাজ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

অথচ এখনো ওই রাস্তার কাজের অনুমোদনই মেলেনি বলে জানায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মূল প্রকল্পের ২২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ হচ্ছে না নির্দিষ্ট সময়ে।

করোনা মহামারীর জন্য শতভাগ কাজ সম্পন্ন করতে না পারার দাবি জানিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রকল্পের ৫৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে প্রকল্পের শেষ অংশের ৪ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছে, এ অংশের বর্ধিতকরণ কাজের অনুমোদন না পাওয়ায় তারা কাজ করছে না।

সওজের অনুমোদনহীন অংশের কাজ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন মহলের সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচারকে অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক বলেছে মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

জানা গেছে, জুড়ী উপজেলা সদর থেকে ফুলতলা-বটুলী শুল্ক স্টেশন পর্যন্ত ভাঙাচোরা প্রায় ২২ কিলোমিটার সড়কটি ৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশস্ত ও মজুবতকরণের কাজ পায় ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

দুই বছর মেয়াদে কাজ সম্পন্নের জন্য ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়ার্ক অর্ডার পেয়ে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

পরে সড়কের ১০ কিলোমিটার জায়গার কাজের দায়িত্ব প্রদান করে স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।

গত কয়েক দিন ধরে সওজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনহীন চার কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য স্থানীয় ওই ঠিকাদারকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কন্সট্রাকশন লিমিটেডের প্রতিনিধি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পরিবেশমন্ত্রীর নির্দেশনার পর আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করেছি এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করব।’

ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে কাজ শুরু হয়েছে। আমরা চাই কাজ সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কাজ চলমান থাকুক।’

স্থানীয় ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহমদ বলেন, জুড়ী টু বটুলী সড়কের সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে কাজ পুরোদমে শুরু হওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানাই।

জুড়ী-ফুলতলা-বটুলী সড়কের কাজ নিয়ে মুঠোফোনে মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। আজ থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে।

এইচ আর / বি এন-০৩